বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে ‘উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে’ রূপান্তর করতে ‘ভিশন টুয়েন্টি-থার্টি’ রূপকল্প ঘোষণা করেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন– বেগম খালেদা জিয়া। বিকেলে রাজধানীর গুলশানের, একটি হোটেলে প্রায় দু’ঘন্টা ধরে তিনি দলের এই ভিশন তুলে ধরেন। ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার ‘ডাবল ডিজিটে’ উন্নীত, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ এবং এ লক্ষ্যে জাতীয় সংসদকে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট ও প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য আনার পরিকল্পনার কথা জানান, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
দেশের রাজনীতিতে বর্তমানে আলোচিত বিষয় বিএনপি’র ‘ভিশন টুয়েন্টি-থার্টি’। এই রূপকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলটির শীর্ষ নেতা, জাতীয়তাবাদী সমর্থক বুদ্ধিজীবী, ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর কেন্দ্রীয় নেতা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও কর্মকর্তা, পেশাজীবী সংগঠনের নেতা, সাংবাদিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
এসময় খালেদা জিয়া বিএনপির রূপকল্পে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত করার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর একক নির্বাহী ক্ষমতা সংসদীয় সরকারের আড়ালে স্বৈরাচারী শাসনের জন্ম দিয়েছে দাবি করে, প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতার ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনার কথাও জানান তিনি। বর্তমান সরকারের আমলে বিভিন্ন আইনের পরিবর্তন, বিতর্কিত আইন বাতিল, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও আটক অবস্থায় দৈহিক-মানসিক নির্যাতন বন্ধের প্রস্তাব দেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ভবিষ্যতে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে আরো কঠোর ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় জানান খালেদা জিয়া।
No comments:
Post a Comment