যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এর পরিচালক জেমস কোমিকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর এর মাধ্যমে তিনি নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। যদিও মার্কিন প্রশাসন জানায়, হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল সংক্রান্ত তদন্তে ভুল তথ্য দেয়ার অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল ফাঁস এবং ট্রাম্পের রুশ সংযোগ নিয়ে কোমির চালিয়ে যাওয়া তদন্ত ভেস্তে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন ডেমোক্র্যাটরা। পাশাপাশি ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা বাজারেও। ডলারের বিনিময় মূল্যে দরপতন হয়েছে ০.২০ শতাংশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোররাতে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, জেমস কোমিকে চাকরীচ্যুত ও তার কার্যালয় থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওয়াশিংটন মর্মাহত বলে জানানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোমিকে পাঠানো বহিস্কারপত্রে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসের সুপারিশক্রমে কোমি কার্যকরভাবে এফবিআইয়ের নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। চিঠিতে ওই সুপারিশের সঙ্গে একমত প্রকাশ করেন ট্রাম্প। তবে তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন, তা শিগগিরই সন্ধান করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
সিনেটের ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার জানান, তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন। শুমার আরও বলেন, ‘কোমিকে বরখাস্ত করে তিনি বড় ভুল করলেন। আর এ বরখাস্তের কোনও যথাযথ উত্তরও দেননি তিনি।’ নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে শুমার আরো বলেছেন, ‘এখন জনগণের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে একটাই পথ আছে, আর তা হলো নির্বাচনে রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে স্বাধীন তদন্ত শুরু করা।’
সিনেট তদন্ত কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান সিনেটর রিচার্ড বার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কোমি বরখাস্ত হওয়ায় তিনি সমস্যা বোধ করছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, তার বরখাস্ত হওয়াটা এফবিআই এবং দেশের জন্য এক ক্ষতি।’
এ ঘটনায় টোকিওর বাজারে শেয়ার ক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে, ফলে ইয়েনের বিনিময়মূল্য বেড়েছে। এশিয়া প্যাসিফিকের অন্য বাজারগুলোতে এর প্রভাব সেভাবে পড়েনি। ওয়াল স্ট্রিটে দিনের শুরুতে ০.২৫ শতাংশ দরপতন আশা করা হচ্ছে। বিবিসি, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান।
No comments:
Post a Comment