Social Icons

Thursday, November 30, 2017

শাজনীন হত্যাকারী শহীদুলের ফাঁসির রায় যেভাবে কার্যকর হয়

পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে পুরো ফাঁসির মঞ্চে লাল ও সবুজ রঙের শামিয়ানা টানিয়ে দেয়া হয়। যাতে বাইরে থেকে ফাঁসির মঞ্চ দেখা না যায়। সামিয়ানার ভেতর বসানো হয় ফ্লাডলাইট।
এর আগে মোম মাখানো দড়িতে বালুর বস্তা ঝুলিয়ে ফাঁসির মহড়াও দেয়া হয়। ফাঁসি কার্যকরের সময় মঞ্চ সংলগ্নস্থানে একটি লম্বা টেবিলে চেয়ার পাতা হয়। তাতে পাশাপাশি বসেন উপস্থিত কয়েকজন কর্মকর্তা।
ফাঁসি কার্যকরের সময় লিভার টেনে ধরেন কারাগারের প্রধান জল্লাদ রাজু। এসময় তার কয়েক সহযোগী সঙ্গে ছিলেন। ২০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখার পর ফাঁস কূপ থেকে লাশ তুলে ওই টেবিলে রাখা হয়। লাশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন সিভিল সার্জন।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, বিধান অনুযায়ী শহিদুলের দুই পায়ের গোড়ালীর রগ কেটে দেয়া হয়। তার মৃত্যু নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ তৈরি করেন। লাশ গোসল দিয়ে কাপনের কাপড় পরানো হয়। পরে শহিদুলের ভাই মহিদুল ইসলাম কফিনে ভরা লাশ গ্রহণ করলে তা অ্যাম্বুলেন্সযোগে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ২৩ এপ্রিল রাতে গুলশানে নিজ বাড়িতে খুন হন শাজনীন তাসনিম রহমান। শাজনীন তখন স্কলাস্টিকা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। ওই ঘটনায় করা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচার হয় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। ২০০৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর বিচারিক আদালত শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে ছয় আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন।
তারা হলেন শাজনীনের বাড়ির গৃহভৃত্য শহীদ, বাড়ির সংস্কারকাজের দায়িত্ব পালনকারী ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান ও তাঁর সহকারী বাদল, বাড়ির গৃহপরিচারিকা দুই বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল।
বিচারিক আদালতের রায়ের পর এই মামলার মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাইকোর্টে যায়। একই সঙ্গে আসামিরাও আপিল করেন। ২০০৬ সালের ১০ জুলাই হাইকোর্ট শনিরামকে খালাস দেন। বাকি পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ বহাল থাকে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন চার আসামি হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন। ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামি শহীদ জেল আপিল করেন। আপিল বিভাগ চার আসামির আপিল মঞ্জুর ও শহীদের জেল আপিল খারিজ করেন। মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) শহীদের করা আবেদনও খারিজ হয়।

মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় মৌলভীবাজারের বড়লেখার প্রবাসী ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমান নিহত হয়েছেন।

মধ্যপ্রাচ্যের কাতারে সড়ক দুর্ঘটনায় মৌলভীবাজারের বড়লেখার প্রবাসী ব্যবসায়ী লুৎফুর রহমান নিহত হয়েছেন।
 
বুধবার রাতে কাতারের খলিফা স্টেডিয়াম এলাকায় ট্রাফিক সিগন্যালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
 
নিহত লুৎফুর রহমান বড়লেখা পৌরশহরের পানিধার এলাকার মৃত মাওলানা আশরাফ আলীর ছেলে।  
 
সূত্র জানায়, বুধবার রাতে লুৎফুর রহমান (৫২) ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে দোহা সিটির বাসা থেকে মাইজার (শিল্পাঞ্চল) যাচ্ছিলেন। সেখানে তার নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে।
 
পথে কাতারের খলিফা স্টেডিয়াম এলাকায় ট্রাফিক সিগন্যাল অতিক্রমকালে বিপরীত দিক থেকে ছুটে আসা দ্রুতগামী একটি প্রাইভেট গাড়ির সঙ্গে লুৎফুর রহমানের গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
 
ওয়ার্ড কাউন্সিলার আলী আহমদ চৌধুরী জাহিদ জানান, লুৎফুর রহমান উপজেলার মুছেগুল গ্রামের বাসিন্দা হলেও প্রায় ২০ বছর ধরে বড়লেখা পৌরশহরের পানিধারে বাসা নির্মাণ করে বসবাস করছেন। কাতারে তার নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। তার লাশ দেশে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া চলছে।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা - বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিলের প্রতিবাদে এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীতে তাৎক্ষনিক বিক্ষোভ মিছিল করেছে মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গবাজার এলাকায় ঢাকা মহনগর দক্ষিণ বিএনপি'র সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের নেতৃত্বে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

যুবদল সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নেতৃত্বে মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মল্টিন, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহিন ও উত্তরের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা রিয়াদ প্রমুখ।

গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেব দল একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।

সংগঠনের সভাপতি শফিউল বারী বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল এর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন সিনিয়র সহ-সভাপতি মোসত্মাফিজুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাদরেজ জামান, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তর এর সাধারণ সম্পাদক গাজী রেজওয়ান উল হোসেন রিয়াজ, দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ঝিলন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বির প্রমুখ।

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৪জন অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ ৫৪জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে।
 
দেশটির ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সময় বুধবার মালয়েশিয়া সময় রাত ১১টায় চেরাছ জায়া, বালাকংয়ের তিনটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা দল, এ তিনটি স্থানে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে ।
 
জেএম সেলাঙ্গর পরিচালক ওমরান ওমর বলেন, ১৩২ জন বিদেশীকে পরীক্ষা করে এদের মধ্য থেকে কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ইমিগ্রেশন অপরাধে ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর অধীনে ৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
 
তিনি বলেন,  গ্রেফতারকৃতরা বাংলাদেশী, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ভারত, শ্রীলংকা, কম্বোডিয়া এবং মিয়ানমারের নাগরিক।  যাদের মধ্যে সাত নারী এবং ৪৭ জন পুরুষ। এদের বয়স ২০ থেকে ৫৪ বলে জানান তিনি। 
 
তবে আটককৃতদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা জানা যায়নি।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক আর নেই।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক আর নেই। লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

বৃহস্পতিবার রাতে তার এপিএস মিজানুর রহমান  এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সোমবার সংক্রমণের কারণে আনিসুল হকের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) স্থানান্তর করা হয়।  শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছিল।
 
পারিবারিক ওই সূত্র জানায়, শনিবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে আনিসুল হকের মরদেহ ঢাকায় আনা হবে। বিমানবন্দর থেকে মরদেহ তার বাসায় নেওয়া হবে। ওই দিন বাদ আসর তাকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
 
নাতির জন্মদিন উপলক্ষে ২৯ জুলাই সপরিবারে লন্ডনে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন আনিসুল হক। তার মস্তিষ্কের রক্তনালিতে প্রদাহজনিত সেরিব্রাল ভাসকুলাইটিস শনাক্ত করেন চিকিৎসকরা।

আগস্টের মাঝামাঝিতে লন্ডনের একটি হাসপাতালে ভর্তির পর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে নেয়া হয় আনিসুল হককে।
 
অবস্থার উন্নতি হলে ৩১ অক্টোবর তাকে আইসিইউ থেকে রিহ্যাবিলিটেশনে স্থানান্তর করা হয়। এর এক মাসের মধ্যে ফের আইসিইউতে নেয়া হয় ৬৫ বছর বয়সী আনিসুল হককে।
 
প্রসঙ্গত, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী আনিসুল হক ২০১৫ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএ’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার গ্রুপে পড়বে কারা?

গ্রুপ অব ডেথ! বিশ্বকাপ বা বড় টুর্নামেন্টগুলোর গ্রুপ পর্বের ড্র হয়ে গেলে এ কথাটাই আলোচিত হয় বারবার। আগামীকাল রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত হবে ২০১৮ বিশ্বকাপের ড্র। এবার কিন্তু দেখা যেতে পারে একাধিক গ্রুপ অব ডেথ বা মৃত্যুকূপ!
চূড়ান্ত পর্বে গ্রুপ হবে আটটি। ৩২টি দলকে চারটি আলাদা পাত্রে রাখা হবে। ফিফার নিয়ম অনুযায়ী বিশ্বকাপের স্বাগতিক দলসহ র‍্যাঙ্কিং অনুসারে শীর্ষ ৮ দল থাকবে পট-১-এ। র‍্যাঙ্কিংয়ের পরবর্তী ৮ দল থাকবে পট-২-এ। এভাবে পট-৩-এ আরও ৮টি এবং র‍্যাঙ্কিংয়ের সর্বনিম্ন ৮ দলকে রাখা হবে পট-৪-এ।
একই অঞ্চল থেকে দুটি দলকে একই গ্রুপে রাখা যাবে না। অর্থাৎ ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা কিংবা সেনেগাল ও তিউনিসিয়া একই গ্রুপে থাকতে পারবে না। তবে এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো উয়েফাভুক্ত দেশগুলো। একেকটি গ্রুপে সর্বোচ্চ দুটি ইউরোপীয় দল থাকতে পারবে।
এই সহজ হিসাব মেনে আপনি চারটি পাত্রের দিকে তাকালেই বুঝে যাবেন, আপনার প্রিয় দলের সঙ্গে কাদের একই গ্রুপে পড়ার সম্ভাবনা আছে। একটা গ্রুপ সর্বোচ্চ কতটা কঠিন হতে পারে। ধরুন আপনি ব্রাজিলের সমর্থক। ১ নম্বর পাত্র থেকে ব্রাজিল, দ্বিতীয় পাত্র থেকে স্পেন, তৃতীয় পাত্র থেকে আইসল্যান্ড আর নাইজেরিয়া পড়ে যেতে পারে এক গ্রুপে! একই ঘটনা আর্জেন্টিনার সঙ্গেও ঘটতে পারে। সত্যি বলতে কি, এবারের চারটি পাত্রেই এমন কতগুলো দল ছড়িয়ে পড়েছে, এবারের বিশ্বকাপে একাধিক কঠিন গ্রুপ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছেই। এমনকি গত দুই বিশ্বকাপের দুই চ্যাম্পিয়ন স্পেন ও জার্মানিকেও দেখা যেতে পারে একই গ্রুপে!
গ্রুপ অব ডেথ আসলে নির্ধারণ করবে পট-৩-এর দলগুলো। বিশেষ করে সুইডেন, ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও মিসর যে গ্রুপগুলোয় থাকবে, সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেড়ে যাবে কয়েক গুণ। গ্রুপ পর্ব থেকে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে দুটি দল। প্রথম দুই পাত্রের দল দুটি সাধারণত ফেবারিট থাকে নকআউট পর্বে যাওয়ার। এবার তৃতীয় পাত্রে অন্তত চারটি দল আছে, যারা চমক দিয়ে চলে যেতে পারে দ্বিতীয় রাউন্ডে। একাধিক মৃত্যুকূপ তো হবেই!
১ আর ২ নম্বর পাত্রেও আসলে কিছু চমক থাকছে। পট-১-এ অপ্রত্যাশিত নাম পোল্যান্ড। অনেক দিন ধরে একসঙ্গে খেলে আসা দলটি ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের ৬ নম্বরে থাকার কারণে পট-১-এ জায়গা পেয়েছে। অন্যদিকে তারকায় ঠাসা দল নিয়েও স্পেন ও ইংল্যান্ডের জায়গা হয়েছে পট-২-এ। 
নাইজেরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান রয়েছে পট-৪-এ। ব্রাজিল, স্পেন, আইসল্যান্ড ও নাইজেরিয়া একই গ্রুপে পড়ার সম্ভাবনা তাই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আবার আর্জেন্টিনা, ইংল্যান্ড, ডেনমার্ক ও অস্ট্রেলিয়ারও একই গ্রুপে থাকার সম্ভাবনা থেকে যায়!
যে দলেরই সমর্থক হন, কাল বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু ড্রয়ে দুরুদুরু বুকে চোখ রাখতে ভুলবেন না!
পট-১
পট-২
পট-৩
পট-৪
রাশিয়া (স্বাগতিক)
স্পেন (৮)
ডেনমার্ক (১৯)
সার্বিয়া (৩৮)
জার্মানি (১)
পেরু (১০)
আইসল্যান্ড (২১)
নাইজেরিয়া (৪১)
ব্রাজিল (২)
সুইজারল্যান্ড (১১)
কোস্টারিকা (২২)
অস্ট্রেলিয়া (৪৩)
পর্তুগাল (৩)
ইংল্যান্ড (১২)
সুইডেন (২৫)
জাপান (৪৪)
আর্জেন্টিনা (৪)
কলম্বিয়া (১৩)
তিউনিসিয়া (২৮)
মরক্কো (৪৮)
বেলজিয়াম (৫)
মেক্সিকো (১৬)
মিশর (৩০)
পানামা (৪৯)
পোল্যান্ড (৬)
উরুগুয়ে (১৭)
সেনেগাল (৩২)
দক্ষিণ কোরিয়া (৬২)
ফ্রান্স (৭)
ক্রোয়েশিয়া (১৮)
ইরান (৩৪)
সৌদি আরব (৬৩)

ব্রাজিলে দক্ষিণ-দক্ষিণ সম্মেলনে বাংলাদেশ

ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল সাউথ-সাউথ অ্যান্ড ট্রায়াঙ্গুলার কোঅপারেশন কনফারেন্স। এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ), ব্রাজিল সরকার, জাতিসংঘের দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা বিষয়ক কার্যালয় (ইউএনওএসএসসি), খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও আন্তর্জাতিক ভূমি জোট (আইএলসি) যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
গত ২০ ও ২১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। এবারের সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল লেভারেজিং ইনোভেশন ফ্রম দ্য গ্লোবাল সাউথ টু সাপোর্ট রুরাল ট্রান্সফরমেশন। এতে দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়াসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অঞ্চলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন এম এ মান্নানসম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতার মধ্য দিয়ে কৃষি ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায়। বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নকে টেকসই করার উপায় নির্ধারণের বিষয়টিই সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়। তিনটি থিমের ওপর ভিত্তি করে সম্মেলনের বিভিন্ন সেশন পরিচালিত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে জলবায়ু সংবেদী কৃষি, বিনিয়োগ উৎসাহিতকরণ ও প্রান্তিক অঞ্চলে কৃষি উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার। বিজ্ঞপ্তি

৮৮ ছাত্রীকে নগ্ন হতে বাধ্য করলেন তিন শিক্ষিকা!

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের একটি গার্লস স্কুলে ৮৮ ছাত্রীকে শাস্তি হিসেবে পোশাক খুলতে বাধ্য করায় তিন শিক্ষিকার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আপত্তিকর শব্দ লেখার অভিযোগে তাদের নগ্ন হতে বাধ্য করে কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের এ শিক্ষিকারা। 
গত ২৩ নভেম্বর প্রদেশের পাপুমপারে জেলার তানি হাপ্পা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে ২৭ নভেম্বরে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এরপর 'অল সাগালি স্টুডেন্ট ইউনিয়ন' ওই ছাত্রীদের পক্ষে থানায় অভিযোগ দায়ের করে।

অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, স্কুলটির ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির ৮৮ ছাত্রীকে শাস্তি হিসেবে পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় স্কুলের দুই সহশিক্ষিকা ও এক জুনিয়র শিক্ষিকাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ঘটনার শিকার ছাত্রীরা জানায়, ক্লাসের অন্যদের সামনে দাঁড় করিয়ে তাদের নগ্ন হতে বাধ্য করেন তিন শিক্ষিকা। প্রধান শিক্ষিকার উদ্দেশে অশ্লীল শব্দ লেখা কাগজের টুকরো খুঁজে বের করতেই নাকি তাদের পোশাক খোলানো হয়। 

পাপুম পারে জেলা পুলিশ সুপার তুমে আমাও জানান, মামলাটি নারী পুলিশ থানায় পাঠানো হয়েছে। ওই ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে পুলিশ।

এদিকে অরুণাচল প্রদেশ কংগ্রেস এক বিবৃতিতে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। এতে বলা হয়, এ ধরণের শাস্তি কোনভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এটি অবশ্যই শিশু অধিকার লঙ্ঘনের সামিল। তবে এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সূত্র: হাফপোস্ট।

বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবো: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের যা আছে তাই নিয়ে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলবো, কারও কাছে মাথা নত করে নয়। জাতির পিতা আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদী উপজেলায় পদ্মাতীরের রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পারমাণবিক চুল্লির জন্য কংক্রিটের মূল স্থাপনা নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে বাংলাদেশকে বলা হতো গরিবের দেশ। কিন্তু আমরা সেই অবস্থার পরিবর্তন এনেছি। জাতির পিতা তার সাতই মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, আমাদের দাবায়ে রাখতে পাবরা না। সত্যি আমাদের দাবায়ে রাখা যায়নি, যাবে না। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, আমরাও পারি।

রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, পাকিন্তান সরকার আমাদের এখান থেকে সম্পদ নিয়ে যেতে পশ্চিম পাকিস্তানে। তাই পাকিস্তান আমলে আমাদের সামনে মূলা ঝোলানো হয়েছিল। ১৯৬১ সালে পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর সেই বিদ্যুৎকেন্দ্র করা হয় পশ্চিম পাকিস্তানে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীনের পর জাতির পিতা ক্ষমতায় এসে আবারও পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেন। আমার বলতে দ্বিধা নেই, এ প্রকল্পের সঙ্গে ড. ওয়াজেদ মিয়াও যুক্ত ছিলেন। প্রকল্প যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায় এজন্য তিনি যে মেয়ের জামাই এটা ভুলে গিয়েও সোচ্চার থাকতেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এরপর ৯৬ সালে ক্ষমতায় আমার পর আমি আবার এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নিমার্ণের কাজে হাত দিই। কিন্তু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরুর আগেই আমাদের সরকারের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এরপর বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে এ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেয়।

তিনি বলেন, আমরা কয়লা, বায়ুসহ সব ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজে হাত দিয়েছি। ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করেছি। আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা। এজন্য কোন কোন খাতে কী কী উন্নয়ন দরকার সে অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনা করে এগোচ্ছি।

রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে আলোচনার শুরুতে আমি রাশিয়ার রোসাটমকে বলেছিলাম, আমাদের ছোট দেশ, জায়গা কম, তাই পারমানবিক বর্জ্র আপনাদের দেশে নিয়ে যেতে হবে। তারা তাতে রাজি হয়েছে। আপনারা জানেন, এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের একটা চুক্তিও হয়েছে।

এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমালোচনাকারীদের ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তাদের ভেতরে আত্মবিশ্বাস একটু কম। আর কারও কারও মধ্যে পরশ্রীকাতরতাও রয়েছে। আমরা কিভাবে, কী করে যাচ্ছি, আসলে তারা সেটা গভীরভাবে খতিয়ে দেখেন না। তাদের ধারণা অবাস্তব। আমি বলতে চাই, কারও চেয়ে আমার দেশপ্রেম কম নেই।    

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে ঈশ্বরদী উপজেলায় পদ্মাতীরের রূপপুরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১১টার দিকে প্রকল্প এলাকায় যে জায়গায় নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর তৈরি হবে, সেখানে অস্থায়ী মঞ্চে দাঁড়িয়ে কর্ণিক দিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম কংক্রিট ঢালাইয়ের উদ্বোধন করেন তিনি।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পাবনার ঈশ্বরদী বিমানবন্দর থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প, পৌর এলাকার প্রধান সড়কসহ ১৭ কিলোমিটার পথজুড়ে তোরণ নির্মাণ ও রাস্তা সংস্কারের কাজ করা হয়েছে। পাশাপাশি রূপপুর প্রকল্প এলাকায় বৃক্ষ রোপণসহ সৌন্দর্যবর্ধন কাজ করা হয়েছে।

জানা যায়, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রসাটমের দায়িত্বে ২০১৩ সালে শুরু হয় দেশের সবচেয়ে ব্যয়বহুল রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ। মূল স্থাপনার কাজ শুরুর ৬৮ মাসের মধ্যেই এখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

'স্ত্রীকে ছেড়ে জোলিকে বিয়ে করা জীবনের বড় ভুল'

অবশেষে কি তাহলে নিজের ভুলটা বুঝতে পারলেন হলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা ব্র্যাড পিট। তার সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে এমনই আভাস মিলেছে এবার।
অ্যাঞ্জেলিনা জোলির রূপে ভুলে জেনিফার অ্যানিস্টনকে ছেড়ে আসা তার জীবনের সবথেকে বড় ভুল সিদ্ধান্ত বলেই সূত্রের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এখন যখন তার আর জেনিফারের সঙ্গে পুরনো সম্পর্ক ঝালিয়ে নেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই, ব্র্যাড বুঝতে পারছেন, আজও তাকে কতটা ভালবাসেন তিনি।
৯ বছর সম্পর্কে থাকার পর ২০১৪ সালে বিয়ে করেন হলিউডের দুই তারকা ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। কিন্তু গত বছর ব্র্যাঞ্জেলিনার ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।
ব্র্যাড জানিয়েছেন, এখন নিজেকে স্পষ্ট করে দেখছেন তিনি, নিজের আবেগ পরিষ্কার বুঝতে পারছেন।
এর মধ্যে অবশ্য বেশ অনেক ঘটনাই ঘটেছে আরও।জেনিফারও বিয়ে করেছেন ২০১৫ সালে, ওয়ান্ডারলাস্টে তার সহ অভিনেতা জাস্টিন থেরক্সকে।
ব্র্যাড নাকি বলেছেন, জেনিফারের নতুন সংসার তছনছ করার তার কোনও ইচ্ছা নেই। কিন্তু মনে মনে তাকেই ভালবেসে যাবেন তিনি।
ইন্ডিয়া টুডে বলছে, মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথে অভিনয় করতে গিয়ে অ্যাঞ্জেলিনার প্রেমে পড়েন ব্র্যাড পিট। সে সময় তিনি জেনিফারের সঙ্গে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ ছিলেন। স্ত্রীর সব আবেদন, অনুরোধ অগ্রাহ্য করে তাকে ডিভোর্স দেন তিনি। জেনিফার এই সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়েছিলেন। তারপর ১১ বছর ধরে চলে ব্র্যাঞ্জেলিনা জুটির রূপকথা।
শোনা যাচ্ছে, মাসদুয়েক আগে ব্র্যাড ক্ষমা চেয়েছেন জেনিফারের কাছে, তাকে ছেড়ে অ্যাঞ্জেলিনার কাছে যাওয়ার জন্য। প্রাক্তন স্বামীকে ক্ষমা চাইতে দেখে জেনিফার নাকি কেঁদে ফেলেন, বহু বছর ধরে মনে পুষে রাখা তিক্ততা ধুয়ে যায় চোখের জলে।

দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

আদালতে হাজির না হওয়ায় জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। 
বৃহস্পতিবার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল আজ। 
আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নাল আবেদিন জানান, বামদলের হরতালে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে। নিরাপত্তার কারণে তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ কারণে তিনি আদালতে যেতে পারেননি।
তিনি আরও জানান, মামলার পরবর্তী তারিখ ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর।
এর আগে ২৩ নভেম্বর অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ষষ্ঠ বারের মতো আত্মপক্ষ সমর্থন করে এক ঘন্টা লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান খালেদা জিয়া। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার পক্ষে করা স্থায়ী জামিনের আবেদন দাখিল করা হলে ফের তা নাকচ করেন আদালত।  
গত ১৫ জুলাই খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান। তিনি লন্ডনে অবস্থানকালেই গত ১২ অক্টোবর আদালত দুর্নীতির দুই মামলায় তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। তিন মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পরদিন গত ১৯ অক্টোবর এই দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।  
মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে মামলাটি করা হয়। খালেদা ছাড়াও এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান

ফাইনালে গ্রেমিওকে পেতে পারে রিয়াল!

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে গ্রেমিও। বুধবার রাতে কোপা লিবার্তেদোরসের ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে আর্জেন্টাইন ক্লাব লেনাসকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি।

ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে ক্লাব বিশ্বকাপের লড়াই। রিয়াল মাদ্রিদ, অকল্যান্ড সিটি, আল জাজিরা, উরাওয়া রেডস. পাচুকা ও ওয়াইদাদ ক্লাসাব্লাঙ্কার মতো ক্লাবগুলো শিরোপার জন্য লড়বে।

ব্রাজিলের পোর্তো অ্যালেগ্রো-ভিত্তিক ক্লাব গ্রেমিও প্রথম লেগে ১-০ গোলে জয় পায়। বুধবার রাতে ফিরতি পর্বের ম্যাচে আর্জেন্টিনার মাঠে ২-১ গোলে জয় পাওয়ায় ৩-১ গোলের অগ্রগামিতায় ক্লাব বিশ্বকাপে জায়গা করে নেয় গ্রেমিও।

মেক্সিকান ক্লাব পাচুয়া এবং মরক্কোর ওয়াইদাদ অ্যাথলেটিকের মধ্যকার লড়াইয়ে জয় পাওয়া দলের বিপক্ষে সেমিফাইনালের ম্যাচে মুখোমুখি হবে গ্রেমিও। সেখানে জিততে পারলে ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে পেতে পারে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জেতায় রিয়াল সরাসরি সেমিফাইনালে খেলবে।

এর আগে দুবার ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা জয়ের স্বাদ পেয়েছে। করিন্থিনিয়াস ২০০০ এবং ২০১২ সালে ক্লাব শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা জয় করে। অন্যদিকে সাও পাওলো ২০০৫ এবং ২০০৬ সালে ব্যাক-টু-ব্যাক শিরোপা ঘরে তোলে। গত মৌসুমে শিরোপা জেতে রিয়াল মাদ্রিদ।

ব্রেক্সিট পরবর্তী ব্রিটেনে বাংলাদেশি কর্মীদের সম্ভাবনা

ব্রিটেনের শ্রমবাজারে দক্ষ এবং অদক্ষ শ্রমিকের চাহিদা বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে বলে মনে করছেন শ্রমবাজার বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বেক্সিট পরবর্তী ইউরোপ এবং ব্রিটেনের পারস্পরিক সম্পর্ক এই সম্ভাবনার ভীত তৈরি করেছে। এটা ব্রিটেনের ব্যবসায়ীদের জন্য যেমন দুঃসংবাদ, ঠিক উল্টোভাবে সুসংবাদ বিশ্বব্যাপী দক্ষ শ্রমিক জনগোষ্ঠীর জন্য। যদিও ব্রিটেন ইউরোপের একক বাজারে মুক্ত বাণিজ্যের সুযোগের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে । তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ নেতারা জানিয়ে দিয়েছেন, তাদের জনগণের ব্রিটেনে অবাধ প্রবেশের অধিকারের ওপর নির্ভর করবে ব্রিটেনকে একক বাজারে মুক্ত বাণিজ্যের সুযোগ দেওয়া হবে কী হবে না। যদিও ইউরোপীয় নেতাদের এই শর্ত ইউরোপের ব্যবসায়ীদের জন্য হিতে বিপরিত হিসেবে দেখা দিচ্ছে। কারণ ইউরোপীয় ব্যবসায়ীদের কাছে ব্রিটেন একটি লাভজনক বাজার। ব্যবসায়ীদের সিদ্ধান্ত যা-ই হোক না কেন, ব্রিটেনের শ্রমবাজারে ইউরোপীয় শ্রমিকের প্রবেশের উপর এক ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই নেতিবাচক প্রভাবের কারণে ইউরোপের বাইরের দক্ষ শ্রমিকরা ব্রিটেনের বাজারে প্রবেশের সুযোগ পেতেই পারে। একেত্রে শুধু কি দক্ষ শ্রমিকরাই প্রবেশাধিকার পাবে, নাকি অদক্ষ শ্রমিকরাও এই সুযোগের অধিকারী হবেন ব্রিটেনের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর নির্ভর করছে তার সবকিছু। তবে অর্থনৈতিক মন্দা কাটানোর জন্য ব্রিটিশরা অতীতে ভিন্ন ভিন্ন নামে অনেক কিছু করেছে। আবার অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠার পরে ঐসব প্রকল্প আস্তাকুড়ে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
এর ফলে ব্রিটেনে যারা উন্নয়নশীল দেশ থেকে গিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেছিল তাদের সবাইকে নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে । তবে দক্ষ শ্রমিকরা সব সময়ই সমাদৃত। এজন্য সম্ভাব্য অভিবাসী শ্রমিক হিসেবে যারা ব্রিটেনকে পছন্দ করেন তাদের এখন থেকেই নিজেদের তৈরি করা উচিত। আর এর জন্য যে বিষয়গুলোর দিকে নজর রাখা উচিত তা হলো প্রথমেই ব্রিটেনের শ্রমবাজারে শ্রমিক স্বল্পতার ক্ষেত্রগুলোর খোঁজ রাখা। যেমন চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসেবা, সিভিল ইঞ্জনিয়ারিং, সফটওয়্যার এন্ড হার্ডওয়ার ইঞ্জিনারিং, সোশ্যাল ওয়ার্ক সেক্টরগুলো অন্যতম। এছাড়াও ব্রিটেনের ‘কারী শিল্প’ অনেকদিন ধরেই কারী সেফ স্বল্পতার কারণে নিঃশেষ হওয়ার পথে। কনজারভেটিভ নেতৃত্ব ব্রিটিশ সরকারের নেতিবাচক ইমিগ্রেশন পলিসির ভুক্তভোগী। এই শিল্পের মালিকরা দাবি করে আসছেন সেফ কোটায় ইউরোপের বাইরের দেশ থেকে জনশক্তি আমদানির জন্য। হয়তো অচিরেই এই দাবি অনেকটা গুরুত্ব পাবে। সে ক্ষেত্রে কারী সেফ হিসেবে কাজের সুযোগ তৈরি হবে ব্রিটেনে।এক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং শিক্ষানবিশ কাজের অভিজ্ঞতা অর্জনের সনদ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দেখা দিবে। আর ইংরেজি জানতে হবে সবার আগে।আইএলটিএস (ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম) ইউনিভার্সিটি অফ ক্যামব্রিজ এর একটি টেস্টিং সিস্টেম যা বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য। এখানে যারা খুব ভালো স্কোর করতে পারবে তারা বেশি প্রাধান্য পাবে। সর্বোপরি যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতির সাথে নিজেকে পরিচিত করতে পারলে ব্রিটেনে সম্ভাব্য সম্ভাবনা ধরা দিতে পারে । সেজন্য বেক্সিটের ফলে আগামী দিনে ইউরোপের বাইরের দেশগুলো থেকে দক্ষ শ্রমিকদের জন্য এক অপার সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে

ব্রিটেনে কড়াকড়িতে বিপাকে বিদেশি শিক্ষার্থীরা

২০০৯ সালে ব্রিটিশ সরকারের মানি ম্যাকিং স্টুডেন্ট স্কিম টায়ার ফোর এর আওতায় কোনো ইংলিশ টেস্ট ছাড়া, ন্যূনতম এসএসসি পাস আর ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে পারলেই ভিসা নিশ্চিত এমন এক অপূর্ব সুযোগ পেয়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের ছাত্ররা ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্রিটেনে! কিন্তু হোম অফিসের নানা নিয়মের ফেরে পড়ে এখন বাংলাদেশি ছাত্ররা দিশাহারা।
২০০৮ সালে ব্রিটেন যে অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে সেখান থেকে ওঠার জন্য এমন এক স্কিম হাতে নেয় সরকার। এক বছরে তারা শুধু ওভারসিজ স্টুডেন্টদের কাছ থেকে ৮ বিলিয়ন পাউন্ড সংগ্রহ করে। ২০০৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টায়ার ফোর স্কিমে লক্ষাধিক বাংলাদেশি স্টুডেন্ট এসেছিলেন। তখন সিস্টেমের ফাঁকে যেমন মেধাবী ছাত্ররা এসেছেন, না বুঝে তেমনি অনেক সেভেন-এইট পাস লোকও এসেছেন সার্টিফিকেট ও ব্যাংক স্টেটমেন্ট জাল করে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে বাংলাদেশি মালিকানাধীন শতাধিক কলেজ গড়ে ওঠে। অনেকেই কোটি কোটি টাকার মালিক হোন চোখের পলকে। শুধু বাংলাদেশি কমিউনিটিতে তখন ৩০০ মিলিয়ন পাউন্ডের লেনদেন হয় এই টায়ার ফোর স্টুডেন্টদের নিয়ে শিক্ষাবাণিজ্যে।
২০০৯ সালে টায়ার ফোর স্কিমে ব্রিটেনে আসা ছাত্র সাইম রহমান বলেন, সরকারি চাকরি ছেড়ে এসেছিলাম সোনার হরিণের আশায়। এখন অবৈধ হয়ে পালিয়ে কাজ করি। না বুঝে নিজের ভবিষ্যৎ নিজেই নষ্ট করলাম। একই সময়ে এমসি কলেজের অর্থনীতি অনার্স ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র আরিফ হোসেন চলে আসেন ব্রিটেনে। আজ তিনিও অবৈধ। আরিফ বলেন, এক মাস পরেই অনার্স ফাইনাল ছিল। সেটা না দিয়ে চলে এলাম ব্রিটেনে। এখন অবৈধ হয়ে আছি। দেশে গিয়ে তো জীবনের নষ্ট করা আট বছর ফেরত পাব না। যখনই ব্রিটিশ সরকার অর্থনৈতিক মন্দা থেকে উঠে দাঁড়ায় তখনই এমন সব নিয়ম আরোপ করে যে টায়ার ফোর স্কিমে আসা ৮৫ শতাংশ অবৈধ হয়ে পড়ে। এদের বড় একটি অংশ চলে যায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে, একটি অংশ এখনো ব্রিটেনে অবৈধ হিসেবে রয়ে গেছে। কিছু অংশ ফিরে গেছে বাংলাদেশে।
২০১৪ সালে ব্রিটিশ হোম অফিস টোয়েক নামে একটি ইংরেজি ভাষা কোর্সকে অবৈধ ঘোষণা করলে ৪৮ হাজার স্টুডেন্টের ভিসা বাতিল করে। ব্রিটিশ সরকার বিদেশি ছাত্রদের ক্ষেত্রে যে কড়াকড়ি আরোপ করেছে তাতে মেধাবী এবং সত্যিকারের ছাত্ররা সবেচেয়ে বেশি কষ্ট করছেন। পরিস্থিতির শিকার হয়ে তারা আজকে চোখে অন্ধকার দেখছেন। বাংলাদেশের নামকরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে মাস্টার্স করতে গিযেছিলেন মারুফ আহমেদ। কিন্তু হোম অফিসের নানা মারপ্যাঁচে পড়ে জীবন অতিষ্ঠ হয় তার। তিনি বলেন, এখন এমন অবস্থায় আছি যে, না পারছি দেশে ফেরত যেতে আবার না পারছি থাকতে।

Wednesday, November 29, 2017

সম্পর্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর আপনার যে অভ্যাসগুলো

এমন ছোট ছোট কিছু কথা বা অভ্যাস আছে, যা যেকোনো সম্পর্ককে আস্তে আস্তে ধংসের মুখে নিয়ে যায়। মানুষ অনেক সময় বুঝতে পারে না, তাদের ছোট ছোট মজা করা হয়তো কারও মনে অনেক কষ্ট দিচ্ছে। তাই, আপনি যদি এমন কোন কাজ করে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই তা পরিবর্তন করুন। এতে আপনার সম্পর্কআবার আগের মত সুন্দর ও ভালো হয়ে উঠবে।

 জেনে নিন সম্পর্কের নষ্ট হওয়ার ক্ষতিকর দিকগুলো-
১. অন্যের দোষ খুঁজে বের করা:  বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নারীদের দোষ খুঁজে বের করার অভ্যাস পুরুষেরা একদমই পছন্দ করেন না। আপনার সঙ্গীর খুঁত ধরা বাদ দিন। মনে রাখবেন, আপনার ইচ্ছামত কাজ করার জন্য উনি বাধ্য নন। তবে আপনি যদি বারবার তার দোষগুলো তার সামনে তুলে ধরতে থাকেন, তাহলে আপানাদের সম্পর্কের অবনতি ছাড়া কোন উন্নতি হবে না।
৩. অর্ধেক কথা শোনা: কারও কথা সম্পূর্ণ না শুনেই হ্যাঁ বলে দেয়াটা খুব সহজ হলেও, এই কাজটি সম্পর্কের জন্য খুবই খারাপ। অর্ধেক কথা শোনা আর বাকি অর্ধেক না শোনা, এমন একটি খারাপ অভ্যাস যা পরবর্তীতে একটি সম্পর্কে অনেক সমস্যা নিয়ে আসতে পারে। আপনাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা অবশ্যই ভালো রাখার চেষ্টা করুন, মন দিয়ে সঙ্গীর সকল কথা শুনুন। এতে সম্পর্ক আরও মধুর হবে।
৪. সমস্যার সমাধানের ব্যাপারে আলোচনা না করা: সমস্যাকে এড়িয়ে চললে সমস্যা একাই চলে যাবে না। প্রকৃতপক্ষে এতে আরও বেশী সমস্যায় পতিত হতে হবে। আপনাদের সম্পর্কের মাঝে কোন সমস্যা থাকলে তা অবশ্যই কথা বলার মাধ্যমে ঠিক করে নেন। মনে রাখবেন, যে কোন সমস্যা সমাধানের প্রধান শর্তই হল আলোচনা করা।
৫. সঙ্গীর বিশ্বস্ততা পরীক্ষা করা: কখনও আপনার সঙ্গীকে পরীক্ষা করতে যাবেন না। এতে আপনাদের সম্পর্কে অবিশ্বাস ঘর বাঁধবে। তাই, সঙ্গীর উপর অবিশ্বাস করার আগে, নিজে তার উপর বিশ্বাস স্থাপন করুন।
৬. মিথ্যা কথা বলা: সম্পর্কের সব থেকে খারাপ দিক হল মিথ্যা কথা বলা। ছোট ছোট মিথ্যা কথা পরবর্তীতে সম্পর্ক শেষ হবার কারন হতে পারে। মিথ্যা কথা বলার কারনে আপনাকে অসৎ হিসেবে গণ্য করা হতে পারে। আপনি কত টাকা খরচ করেছেন, কোথায় ঘুরতে গেছিলেন এসব নিয়ে মিথ্যা বলার কিছু নেই। তবে এসব নিয়েও মিথ্যে বললে, সম্পর্ক ধ্বংস হতে পারে।
৭. শুধুমাত্র নিজের খুশির চিন্তা করা: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সবাই সম্পর্ক থেকে কি পাবেন তা নিয়ে চিন্তায় থাকে আর সে নিজে কি দিচ্ছে তা চিন্তা করেন না। আপনি খুশি থাকেন আর না থাকেন, অবশ্যই আপনার সঙ্গীর খুশির উপর ধ্যান দিন। এতে আপনাদের সম্পর্ক মধুর হবে।

কেন পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন অনেকে ?

পরকীয়া প্রেম সমাজে যতই মুখরোচক গল্পের জন্মের দিক না কেন এক সঙ্গে অনেকগুলো জীবন নষ্ট করে দেয় এই সম্পর্কগুলো। বাবা, মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সন্তান। ছোটবেলা থেকে অবসাদে ভুগতে ভুগতে মানসিক রোগের শিকার হয় অনেকে। আবার বিশ্বাসভঙ্গ, অপমানে শেষ হয়ে যায় প্রতারিত হওয়া মানুষটার জীবন। কেন মানুষ এমনটা করে বলুন তো?
কী কারণে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মানুষ?
১। অল্প বয়সে বিয়ে- জীবনে স্থায়িত্ব আসতে আসতে তিরিশ পেরিয়ে যায়। এ দিকে বিয়ে যদি অনেক আগে, কুড়ি বছরের আশে পাশে হয় তবে সে ভাবে জীবন উপভোগ করা হয়ে ওঠে না। স্থায়িত্ব আসার পর তাই অনেকে পরকীয় প্রেমের অ্যাডভেঞ্চারের স্বাদ নিতে চান।
২। ভুল বিয়ে- যাঁর সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে তাঁকে পছন্দ না হলেও বাড়ি, সমাজের চাপে অনেকেই বিয়ে করতে বাধ্য হন। বিয়ের পর নিজের ভুল বুঝতে পারেন। তখন কোনও বন্ধুত্ব থেকেও হঠাত্ প্রেম হয়ে যেতে পারে।
৩। মানিয়ে নিতে না পারা- জীবনে কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরেও অনেকে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। পরিবারের সদস্যের অসুস্থতা, মৃত্যু, চাকরি চলে যাওয়া, আর্থিক অনটনে অনেকে পরিবারের বাইরে মুক্তি খোঁজেন। এই সময় কোনও কাছের বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা একেবারেই বিরল নয়।
৪। অভিভাবকত্ব- সন্তানের জন্মের পর জীবনে পরিবর্তন আসে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে পরিবর্তন, স্পেসের অভাব, দায়িত্ব, কর্তব্যের জেরে অনেকে অবসাদে ভোগেন। মহিলাদের মধ্যে এই প্রবণতা কম দেখা যায়। মায়ের দায়িত্ব তাঁরা পালন করলেও পুরুষরা সব সময় বাবার দায়িত্ব পালন করেন না।
৬। মনের অমিল- পারিবারিক স্টেটাসে মিল থাকলেও অনেক সময়ই বিশেষ মানুষটার সঙ্গে মনের মিল হয়ে ওঠে না। দু’জনের বেড়ে ওঠা, পছন্দ-অপছন্দের ফারাক অনেক সময়ই দূরত্ব গড়ে দেয়। শুধু সম্বন্ধ করে বিয়ের ক্ষেত্রে নয়, নিজের পছন্দে বিয়ের ক্ষেত্রেও পরবর্তীকালে এটা হতে পারে। বহু দিন ধরে মনের মিল না হলে স্বাভাবিক ভাবেই বিয়ের বাইরে নিজের মনের মতো মানুষটিকে খুঁজে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
৭। মূল্যবোধ- কঠিন পরিস্থিতি জীবনে মানুষ চেনায়। বিয়ে যখন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যায় তখন বোঝা যায় আমাদের মূল্যবোধ। যদি দু’জনের মূল্যবোধে আকাশ-পাতাল ফারাক থাকে তবে ধীরে ধীরে দূরত্ব তৈরি হয়। তখন বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হতে পারে।
৮। গুরুত্বের পার্থক্য- বিয়ের আগে বা বিয়ের সময় অনেকেই নিজেদের জীবনের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন না। এক সঙ্গে গোটা জীবন কাটাতে হলে একে অপরের গুরুত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে জানা ও সম্মান করা জরুরি। অধিকাংশ সময়ই দেখা দু’জনের জীবনের গুরুত্বের জায়গাগুলো আলাদা। সেখান থেকে শুরু হয় সমস্যা।
৯। কোনও কিছুতেই মিল নেই- ‘‘আমাদের কিছুই মেলে না’’। এমন অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায় দম্পতিদের মুখে। এ দিকে হয়তো সব দিক দেখে শুনে, অথবা এক সময়ে একে অপরের প্রতি তীব্র ভাললাগাই আপনাদের এক করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভাল লাগা-খারাপ লাগা সামনে আসতে শুরু করে। তখন বোঝা যায় দু’জন মানুষ আসলে কতটা আলাদা। এখান থেকে দূরত্ব বাড়তে থাকে। যা অনেক সময়ই বিবাহ বহির্ভূত সন্পর্কের জন্ম দেয়।
১০। উত্তেজনার অভাব- সম্পর্ক অনেক সময়ই একঘেয়ে হয়ে ওঠে। প্রতি দিনের জীবনের বাইরে অনেকে উত্তেজনা খুঁজে নিতে চান। স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে সে ভাবে বড় কোনও সমস্যা না থাকলেও শুধু মাত্র উত্তেজনা খুঁজতে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অনেকে।
১১। অর্থ- কথায় আছে অর্থ থেকেই অনর্থ হয়। পরিবারের জোয়াল টানতে টানতে অনেক সময় নিজের দিতে নজর দেওয়া হয়ে ওঠে না। নিজের পছন্দ, স্বাদ-আহ্লাদ মেটানো হয়ে ওঠে না। কোনও বন্ধুর আর্থিক সাহায্য, ভালবেসে স্বাদ-আহ্লাদ মিটিয়ে দেওয়া জন্ম দিতে পারে অবাঞ্ছিত সম্পর্কের।
১২। কেরিয়ারে উন্নতি- পৃথিবীতে কিছু মানুষ রয়েছেন যাঁরা শুধু মাত্র কেরিয়ারে উন্নতির জন্য সম্পর্কে জড়াতে পারেন। এই মানুষদের থেকে সাবধান। এঁরা সম্পর্ককে উন্নতির সিঁড়ি হিসেবে দেখেন।

ফিনল্যান্ডে বাড়ছে অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশি

নিজেদের উন্নয়নের জন্য ও পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতার আশায় প্রতিদিন প্রচুর বাংলাদেশি পাড়ি দিচ্ছে বিদেশের বিভিন্ন দেশে। কিন্তু আগের তুলনায় বাংলাদেশিদের মধ্যে অবৈধভাবে বিদেশ যাওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে অবৈধ প্রবাসীদের অনেকে বিভিন্ন দেশে আটক হয়ে শরণার্থী হিসেবে সে দেশে বসবাস করছে। যে উন্নয়নের জন্য তারা বিদেশ পাড়ি দিয়েছিলো সেই লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না। অবৈধ প্রবাসীদের বিষয়ে এভাবেই কথাগুলো বলছিলো ফিনল্যান্ডের শরণার্থী ক্যাম্পে আটক কিছু বাংলাদেশি।
এসব বাংলাদেশি জানায়, বিপুল টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন দেশের সীমান্ত পেরিয়ে ফিনল্যান্ডে আসা বেশির ভাগেরই আশ্রয় হয়েছে শরণার্থী ক্যাম্পে। তবে হাতেগোনা কয়েকজন রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছে। আবার অনেকে কাজ করার সুযোগ পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের ফিনল্যান্ডে কাজ হিসেবে জুটছে রাস্তা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা আর পত্রিকা বিলির মতো ছোটখাটো কাজ। কিছু বাংলাদেশি রেস্তোরাঁয় কাজ করেন। সামান্য বেতনের বিনিময়ে মাসের পর মাস কাজ করে যাচ্ছেন তারা। তারপর আছে নানামুখী মানসিক অত্যাচারতো রয়েছেই।
বাংলাদেশ থেকে আগত কয়েকজন শরণার্থীর বিভিন্ন সূত্র জানায়, তাদের বেশির ভাগ ইউরোপ আসেন ভারত-পাকিস্তান-আফগানিস্তান ও রাশিয়া হয়ে। আবার অনেকে ইরান-তুরস্ক হয়ে ইউরোপ প্রবেশ করেছেন। জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশন (ইউএনএইচসিআর) জানিয়েছে, দুই বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১২ হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন পথে ইউরোপ পাচার হয়েছেন। এছাড়া অজানা সংখ্যক শরণার্থী মাঝসমুদ্রে নৌকা ডুবে, কেউ অত্যাচারে অথবা কেউ খাবারের অভাবে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হয়।

সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিশ্বের শীর্ষ শরণার্থী দেশের তালিকায় শীর্ষে অবস্থানকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তালিকায় সিরিয়া, আফগানিস্তান, ইরাক ও পাকিস্তানের পরই বাংলাদেশের অবস্থান। ইউএনএইচসিআরের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় প্রতিবছর প্রায় সাড়ে চার কোটি লোক শরণার্থী হচ্ছে। তবে এই সমস্যা শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয়, সমস্ত পৃথিবীব্যাপী। সাম্প্রতিক সময়ে এ সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলো থেকেও ইউরোপের নানা দেশে, বিশেষ করে গ্রিস–জার্মানি–ইতালির উদ্দেশে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করছেন অভিবাসন প্রত্যাশীরা। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়াও এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করছে। ল্যাটিন আমেরিকার অনেক দেশ বিশেষ করে মেক্সিকো থেকে স্থলপথে দুর্গম এলাকা পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছেন অনেকে।

এশিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপ, আফ্রিকা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া—সব মহাদেশকেই গ্রাস করছে এই মানব পাচার সমস্যা। কিছুদিন আগে থাইল্যান্ডের গহীন বনে অভিবাসন প্রত্যাশীদের কবরের সন্ধান পাওয়া যায়। ইউরোপ যাত্রায় সমুদ্রে হাজার হাজার মানুষের সলিলসমাধি সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ থেকে মানব পাচারের বিষয়টি সামনে চলে এসেছে। সম্প্রতি মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশি এক মানব পাচারকারীকে ফিনল্যান্ড পুলিশ ধরতে সমর্থ হয়েছে। তবে সংগত কারণে তার বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেনি। তার নিবাস রাশিয়ার মস্কো বলে জানা গেছে। তবে একই ভাবে বাংলাদেশি মানব পাচারকারীদের ধরতে বিভিন্ন ধরেন অভিযান চালাচ্ছে ফিনল্যান্ড পুলিশ। তবে এতে বৈধ উপায়ে অবস্থিত বাংলাদেশিদের নানা ধরনের হয়রানিরে শিকার হতে হচ্ছে।

নাজমুল হাসান নামে এক বাংলাদেশি বলেন, এভাবে শরনার্থীর সংখ্যা মূলত অবৈধ প্রবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে বাংলাদেশের উপর একপ্রকার নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হবে ফিনল্যান্ড সরকারের। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ সরকার অতিদ্রুত ফিনল্যান্ড সরকারের সাথে সমঝোতা করে এর একটি সঠিক সমাধানে আশা উচিত। এতে বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের সুসর্ম্পক যেমন বজায় থাকবে একই সাথে সেই দেশে আটক বাংলাদেশিরাও নিজের দেশে ফেরত আসতে পারবে। তাই অতিদ্রুত এ বিষয়ে সরকারের সজাগ দৃষ্টি আশা আরেন নাজমুল হাসানসহ ফিনল্যান্ডে আটক অসংখ্যা বাংলাদেশিরা।

স্বেচ্ছা মৃত্যু অনুমোদন করল অস্ট্রেলিয়া

প্রথমবারের মত অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্য স্বেচ্ছায় মৃত্যুর বৈধতা দিয়েছে।
১০০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে তুমুল বির্তকের পর যুগান্তকারী এই আইনটি পাশ হল। এ নিয়ে দুই রাত টানা বির্তক চলছিল।
এই আইনের ফলে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় জনবসতিপুর্ণ রাজ্যে মুমূর্ষু রোগীরা ২০১৯ সালের মাঝামাঝি থেকে প্রাণনাশক ঔষুধ ব্যবহারের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে তাদের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছরের বেশি হতে হবে এবং তাদের ছয় মাসের বেশি বাচাঁর সম্ভাবনা থাকবে না ।
"আমি গর্বিত যে আমরা আমাদের সংসদ এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মূলে সমবেদনার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি," রাজ্যের প্রধান ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ বলছিলেন।
"এটাই রাজনীতি এবং এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ। আর ভিক্টোরিয়া যে টা করে আমাদের জন্য সেটাই শ্রেয়।" বলছিলেন তিনি।
বলপ্রয়োগ থেকে রক্ষাকবচ
যেসব রোগী খুব মারাত্মক কষ্ট অনুভব করেন তাদের জন্য এই আইনটি করা হয়েছে। রক্ষাকবচ হিসেবে এ আইনের ৬৮টি শর্ত রয়েছে। যার মধ্যেউল্লেখযোগ্য হল:
# নিজের জীবন শেষ করতে একজন রোগীকে অবশ্যই তিনজন বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তারের অনুমতি নিতে হবে
# একটি বিশেষ বোর্ড সবগুলো কেস পর্যালোচনা করবে
# রোগীদের জোরপূর্বক জীবন নাশের বিষয় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে
এছাড়া, রোগীদের অবশ্যই ভিক্টোরিয়া রাজ্যে কমপক্ষে ১২ মাস বসবাস করতে হবে এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে।
জটিল রোগে (যেমন মোটর নিউরন ডিজেজ নামে পরিচিত এমাইয়োট্রোফিক ল্যাটেরাল স্খলনোসিস) আক্রান্ত রোগীদের বাচাঁর সম্ভাবনা ১২ মাসের কম থাকলে তাদের জন্য আইনটি প্রযোজ্য হবে।
২৬ ও ২৮ ঘণ্টার দুটি পৃথক অধিবেশনে বির্তকের পর বুধবার বিলটি চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
কয়েকজন সংসদ সদস্য বিলটির তীব্র বিরোধীতা সমালোচনা করছেন। তারা বিলটিতে শত শত সংশোধন নিয়ে আসার প্রস্তাব করেছিল।
গতমাসে মি: অ্যান্ড্রুজ 'র ডেপুটি জেমস মার্লিনো বিলটিকে "বয়স্কদের নির্যাতনের কৌশল" বলে এর সমালোচনা করেন।
১৯৫৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে বিশ্বের প্রথম স্বেচ্ছায় যন্ত্রণাহীন মৃত্যু আইন চালু হয়। কিন্তু আট মাস পর ক্যানবেরার ফেডারেল কতৃপক্ষ আইনটি বিলুপ্ত করে।
কিন্তু রাজ্যের ক্ষেত্রে ফেডারেল সরকার একই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে না।
কানাডা, নেদারল্যান্ড এবং বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশে এর আগে মুমূর্ষু রোগীদের ডাক্তারি তত্ত্বাবধানে স্বেচ্ছায় মৃত্যুর আইন পাশ করা হয়।

দেহব্যবসার শিকার হচ্ছে রোহিঙ্গা নারী
মিয়ানমার থেকে পালিয়েছে যে ছয় লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা, তারা নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে এলেও এদের মধ্যে অনেকের ভাগ্যেই সেই কাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা জোটেনি।
আশ্রয়হীন সহায়সম্বলহীন এসব রোহিঙ্গার মধ্যে অনেকেই যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে বলে এক রিপোর্টে জানাচ্ছেন বিবিসির সংবাদদাতা রিটা চক্রবর্তী ।
এসম্পর্কে বিবিসির একটি অনুসন্ধানীমূলক রিপোর্ট সম্প্রতি বিবিসির টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে।
তিনি জানাচ্ছেন, কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকত। দিনের বেলায় এখানে রয়েছে অপূর্ব প্রাকৃতিক শোভা। কিন্তু রাতের বেলা এখানে দেখা যায় ভিন্ন এক দৃশ্য। আর সেটা খুব একটা সম্মানজনক নয়।
এখানে রোহিঙ্গা তরুণীদের দেহ ব্যবসায় লাগানো হয়েছে। আর এটা করছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কয়েকজন। সাথে রয়েছে কিছু স্থানীয় বাংলাদেশী।
দেহব্যবসার জন্য তাদের বিক্রি করা হচ্ছে। রিটা চক্রবর্তীর সাথে ১৭ বছর বয়সী এক তরুণীর সাথে কথা হয়। তাকে একটি হোটেলে আটকে রেখে জোর করে দেহব্যবসা করাচ্ছে কয়েকজন রোহিঙ্গা। এখানে মেয়েটির অবস্থা যৌন দাসীর মতো।
নিরাপত্তার স্বার্থে তার পরিচয় গোপন রাখা হয়। মেয়েটি বলছে, "আমি এখানে কাপড়-চোপড় ধুই। তারা আমাকে দু'বেলা খেতে দেয়। আমি সারাদিন খাটি।"
"রাতের বেলা ওরা আমাকে বিছানা থেকে টেনে তোলে। তাদের মুখ ঢাকা থাকে। আমি কান্নাকাটি করলে তারা আমাকে মারধর করে। ছুরি দিয়ে খুন করার ভয় দেখায়। আমার গলা টিপে ধরে।"
তরুণীটি বলছে, এজন্য তাকে কোন টাকাপয়সা দেয়া হয় না।
আরেকটি মেয়ে, যার বয়স ১৫ বছর, জানায় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী তার মা'কে গুলি করে হত্যা করার পর সে নৌকায় চড়ে পালিয়ে আসে।
নৌকা ভাড়ার জন্য তার শেষ সম্বলটুকু দিয়ে দিতে হয়। এরপর নৌকার মাঝি তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
সে বলছে, "আমার কাছ থেকে সোনা গয়না নিয়ে সে আমাকে নৌকায় তুলে নেয়। নৌকার ভেতরে ঢোকার পরই সে আমাকে ধর্ষণ করে।"
"আমি বাধা দিলে সে বলে নৌকায় যেতে চাইলে তার কথা শুনতে হবে। আমি তখন খুব কাঁদছিলাম।"
বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর তার আশ্রয় হয় এক মহিলার ঘরে। তরুণীটি ভেবেছিল ঐ মহিলা তাকে সত্যি সত্যি সাহায্য করছে।
কিন্তু এখন ঐ মহিলা এখন তাকে দিয়ে জোর করে দেহব্যবসা করাচ্ছে।
প্রতি রাতে তার ঘরে ঢুকছে একাধিক পুরুষ।
তরুণীটি বলছে, "তারা মহিলাকে টাকা দেয়। তিনজন এলে আমাকে ২৫০ টাকা দেয়। দুজন এলে দেয় ২০০ টাকা। এসব আমার ভাল লাগে না। আমার খুব ব্যথা লাগে।"
"দু'জন বা তিনজন যখন একসাথে আসে। আমি তখন আর সহ্য করতে পারি না। তখন তিনজনের মধ্যে থেকে একজন চলে যায়। তারা আমাকে ওষুধ দিয়ে বলে এটা খাও। ওষুধ খাওয়ার পর আমি আর ব্যথা টের পাই না।"
কক্সবাজারের স্থানীয় লোকজন এই দুই তরুণীকে এখন সাহায্য সহযোগিতা করছে।
কিন্তু তাদের মতো নিরাশ্রয়, সহায়হীন নারী এখানে রয়েছে অনেক।
মিয়ানমারের সহিংসতা ছেড়ে পালিয়ে এসব নারী এসে পড়েছে এক নতুন নরকের মধ্যে।
 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates