ইরানের বাধ্যতামূলক হিজাব আইন লঙ্ঘন করায় কমপক্ষে ২৯ জন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম। শুক্রবার ইরানি গণমাধ্যম তাসনিম নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৯ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তেহরান পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার জন্য আটক করা হয়েছে তাদের। তবে ঠিক কোথা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা অস্পষ্ট। কারণ দেশটির রাজধানী তেহরান থেকে শুরু করে প্রাচীন নগরী ইস্পাহান ও শিরাজে বিক্ষোভ হচ্ছে। দেশটিতে ১৯৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা হয় এবং সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে অধিষ্ঠিত হন আয়াতুল্লাহ খোমেনি। বছরের পর বছর ধরে ইরানি নারীরা আইনটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে নতুন করে আইনটির বিরোধিতা করছে নারীরা। প্রকাশ্যে হিজাব খুলে পতাকার মতো ওড়াতে দেখা গেছে তাদের। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মসিহ আলিনেজাদ নামের এক নির্বাসিত ইরানি অ্যাক্টিভিস্ট বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন শুরু করেন। বিশেষ করে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফ গ্রেপ্তারের বিষয়ে নীরবতা প্রদর্শনের পর। হলি ড্যাগরেস নামের একজন ইরানি-আমেরিকান বিশ্লেষক বলেন, দেশটির অর্ধেক জনসংখ্যায় হিজাব পরার বিরুদ্ধে থাকায় কর্তৃপক্ষ আরও বেশি সতর্ক হয়েছে।
Saturday, February 3, 2018
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment