দেশীয় নাগরিকেদের কর্মসংস্থান করার লক্ষ্যে সম্প্রতি সৌদি আরব প্রবাসী শ্রমিকদের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।যার ফলে কাজ হারিয়ে অনেক শ্রমিক দেশে ফিরে আসছে।আর সেখানে যেসব প্রবাসী ব্যবসায়ী রয়েছেন তারা পড়েছেন উভয় সংকটে। একদিকে আকামার ফি বৃদ্ধি করা, অন্যদিকে বিদেশি মালিকানাধীন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোয় সৌদি নাগরিকদের কাজে রাখা বাধ্যতামূলক করেছে সৌদি সরকার। তাই অনেক ব্যবসায়ী এই সংকট মোকাবেলা করতে না পেরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিচ্ছেন। এসব কথা ভয়েস বাংলাকে জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এস এম ইয়াকুব আলী।
সৌদি আরবের তাবুক শহরে ফার্নিচার ব্যবসায় সফল এই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী জানান, সৌদিকরণের ফলে প্রবাসী ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ধরণের প্রতিষ্ঠানে সৌদি নাগরিকদের কাজে রাখা বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির সরকার। কিন্তু সৌদি নাগরিকরা এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে মোটেও অভ্যস্ত নয়। এছাড়া বেতন-বাড়াতেও রয়েছে এসব সৌদি শ্রমিকদের নানা ধরণের শর্ত. বিদেশি বা বাংলাদেশি শ্রমিকরা প্রবাসী ব্যবসায়ীদের দোকানে কাজ করে যে বেতন পায়, সৌদি নাগরিকরা সে বেতনে কাজ করতে রাজি হয় না। , ফলে এক হিসেবে তাদেরকে বসিয়ে বেতন দেওয়া ছাড়া কোন পথ নেই বলে জানান তিনি। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, বাংলাদেশি যেসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রয়েছে, বিশেষ করে যারা সবজি, টাকশপ, ছোট ছোট সুপার শপ দিয়ে ব্যবসা করছেন তাদের অনেকেই আকামা ফি বাড়ানোয় রয়েছে চরম বিপাকে। অনেকে ব্যবসা বন্ধ করে দেশে আসার পরিকল্পনা করেছেন। উল্লেখ্য, সৌদি সরকার সৌদি নাগরিকদের নিজ দেশে কর্মসংস্থান বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রবাসী শ্রমিকদের ১২ ধরণের দোকানে কাজ করার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং এসব প্রতিষ্ঠানে সৌদি নাগরিকদের কাজে নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে। এর পাশাপাড়ি অবৈধ শ্রমিকদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। ফলে নানা ধরণের সংকটে পড়েছে প্রবাসী ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা ।
No comments:
Post a Comment