এবার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ পাঁচ দেশের নাগরিকদের ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়েত। এসব দেশ থেকে কট্টর ইসলামি চরমপন্থিরা প্রবেশ করতে পারে এমন আশঙ্কায় ভিসা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কুয়েত সরকার। দেশগুলো হলো পাকিস্তান, সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান ও ইরান। যদিও সিরিয়ার নাগরিকদের প্রবেশে ২০১১ সালেই একবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কুয়েত সিটি কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি সাতটি মুসলিম দেশের শরণার্থী ও নাগরিকদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশগুলো হলো ইরাক, সিরিয়া, ইরান, সুদান, লিবিয়া, সোমালিয়া ও ইয়েমেন। তবে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের তালিকায় ছিল না। যদিও মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এসব দেশের সঙ্গে পাকিস্তানও তালিকাভুক্ত হতে পারে।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পর এবার কুয়েতের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এসেছে। তবে গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) সদস্য দেশ হওয়ায় কুয়েতের এ সিদ্ধান্তে জিসিসিভুক্ত অন্যান্য দেশ অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ইরানের সঙ্গে কুয়েতের উত্তেজনা বাড়ছে।
২০১৫ সালে কুয়েতের একটি শিয়া মসজিদে জঙ্গি হামলায় ২৭ জন কুয়েতি নাগরিক নিহত হন। কঠোর সাংস্কৃতিক আইনের কারণে প্রবাসীদের জন্য কুয়েতকে বিশ্বের সবচেয়ে বাজে গন্তব্য বলে ২০১৬ সালে এক্সপ্যাট ইনসাইডার এক প্রতিবেদনে জানায়। খবর:এনডিটিভি।
Friday, April 6, 2018
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment