Friday, April 1, 2016
বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ২ বোনকে গণধর্ষণ
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় দুই কিশোরী বোনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাতভর গণধর্ষণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ইসলামগঞ্জ বাজারের পাশে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে তাদের গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে কমলনগর থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। মামলার প্রধান দুই আসামি হলেন কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত ইস্রাফিলের ছেলে মো. খোকন ও একই এলাকার মৃত সোলেমানের ছেলে মো. সিরাজ। অন্য আসামিরা হলেন ওই এলাকার ইসামাইল হোসেনের ছেলে মো. ইউছুফ ও মৃত হোসেন আহাম্মদের ছেলে মো. আবদুল করিম। মামলায় অজ্ঞাত আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে। ধর্ষিতা বড় বোন জানান, একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী মো. খোকন তাকে পছন্দ করতেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে খোকন তাদের বাড়িতে এসে তাকে ঘর থেকে বের হতে বলেন। তিনি একা একা ঘর থেকে বের হবেন না জানালে ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে বের হতে বলেন খোকন। এরপর দুই বোন ঘর থেকে উঠানে আসলে ৪/৫ মিলে তাদের মুখ বেঁধে তুলে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে যায়। ওই বাড়ির পুকুর পাড়ে রেখে রাতভর তাদের ধর্ষণ করে খোকন ও তার সঙ্গীরা। ধর্ষিত ছোট বোন বলেন, খোকনের চাচাতো ভাই সিরাজ আমার গলায় ধারাল ছুরি ধরে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষক খোকন ও সিরাজের বন্ধু ইউছুফ এবং আবদুল করিমও আমাদের ওপর অত্যাচর করেছে। ধর্ষিতাদের বিধবা মা জানান, রাতে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। লম্পট খোকন, সিরাজসহ কয়েকজন মিলে আমার দুই মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। তিনি বলেন, সকালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি কলাবাগান থেকে তাদের অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করি। তিনি আরও বলেন, এরপর বিষয়টি স্থানীয় নবনির্বাচিত মেম্বার আবদুর রহিম দুলাল মাঝিকে জানালে তিনি মীমাংসা করার আশ্বাস দিয়ে মামলা না করতে পরামর্শ দেন। কিন্তু, বিচার না পেয়ে আমি থানায় অভিযোগ করি। স্থানীয়রা জানায়, অভিযুক্তরা আবদুর রহিম দুলাল মাঝির চাচাতো ভাই ও নিকটাত্মীয়। এ জন্য তিনি মীমাংসার নামে সময়ক্ষেপণ করে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার অপচেষ্টা করেছেন। তবে এ সব অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুর রহিম দুলাল মাঝি বলেন, 'আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। আমি ধর্ষিতাদের উপকারের চেষ্টা করেছি।' কমলনগর থানার ওসি কবির আহাম্মদ বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে প্রাথমিকভাবে দুই বোনকে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে। তিনি বলেন, ধর্ষিতাদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment