চলতি বছরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে শিরশ্ছেদের সংখ্যা বাড়তে পারে দ্বিগুণেরও বেশি। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট জানায়, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই সৌদি আরবে ৮২ জনকে শিরশ্ছেদ করা হয়েছে, যা গত বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
এ ছাড়া প্রতিবছরই দেশটিতে বাড়ছে শিরশ্ছেদের হার। ২০১৪ সালে ছিল এই সংখ্যা ছিল ৮৮ জন। ২০১৫ সালে তা বেড়ে ১৫৮ জনে দাঁড়ায়। আর চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এই সংখ্যা ৮২!
মানবাধিকার সংস্থাগুলো আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, রাজনৈতিক মতাদর্শ, প্রতিহিংসাসহ নানা কারণে শিরশ্ছেদ হচ্ছে। আর এভাবে চলতে থাকলে বছর শেষে ৩২০ জনেরও বেশি শিরশ্ছেদের শিকার হতে পারেন।
এদিকে সৌদি-যুক্তরাজ্য প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বাড়াতে কিছুদিন আগেই যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা সচিব মিখাইল ফেলন সৌদি আরব সফরে গিয়েছিলেন। তিনি জানান, ব্রিটেন সৌদি আরবকে শিরশ্ছেদের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এ ছাড়া মিখাইল ফেলন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নাইফ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে দেখা করেন। আবদুল আজিজ দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন। সেখান থেকেই মূলত শিরশ্ছেদের নির্দেশনাগুলো আসে।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে আলী আল নিমর, দাউদ আল মারহুন ও আবদুল্লাহ আল জহিরের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সৌদি রাজপরিবারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের অভিযোগে তাঁদের শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল।
এর আগে টুইটারে টুইট করার অপরাধে সৌদিতে এক সাংবাদিকের পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছিল দেশটি।
No comments:
Post a Comment