দরজায় কড়া নাড়ছে রিও অলিম্পিকের আসর। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়াযজ্ঞকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো। তাদের এই প্রস্তুতির শেষ মুহূর্তে রিও'তে পৌঁছে গেছে এবারের অলিম্পিক মশাল। ব্রাজিলের কিংবদন্তী সব ক্রীড়াবিদরা সেই মশাল নিয়ে প্রদক্ষিণ করেছেন রিও শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
পুরো আসরে নারী অ্যাথলিটদের অংশগ্রহণের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে সারা বিশ্বের নারীদের উদ্বুদ্ধ করতেই রিও'র রাস্তায় মশাল তুলে দেয়া হয় সাধারণ নারীদের হাতে। ব্রাজিলের ফুটবল, ভলিবল, বাস্কেটবল দলের সাবেক খেলোয়াড়রা এই মশাল বহন করতে পেরে উচ্ছ্বসিত।
এ বিষয়ে ব্রাজিলের রোয়ার অ্যান্ডারসন বলেন, "আমরা এবারের আয়োজক। মশাল আমাদের হাতে। পুরো বিষয়টাতেই আমি উত্তেজিত"।
ব্রাজিলের বাস্কেটবল খেলোয়াড় টিয়াগো স্পেলিটার বলেন, "এবার আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম অনেক কাছ থেকে ভালো কিছু দেখার সুযোগ পাবে। ভবিষ্যতে আমাদের ক্রীড়াজগতের জন্য এটা খুবই ইতিবাচক"।
অপরদিকে ব্রাজিল অলিম্পিককে সামনে রেখে পুরোদমে অনুশীলন শুরু করেছে জার্মান অলিম্পিক দল। ২৭টি ডিসিপ্লিনে এবার জার্মানির ৪১২ জন অ্যাথলেট অংশ নেবেন। সর্বশেষ লন্ডন অলিম্পিকে ১৮টি স্বর্ণ, ২২টি রৌপ্য ও ১৫টি ব্রোঞ্জ পদকসহ মোট ৫৫টি পদক পেয়েছিলো জার্মানি। এবারে সেটিকেও ছড়িয়ে যাবার প্রত্যাশা তাদের।
জার্মানি অলিম্পিক অ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি আলফন্স হোয়ারম্যান বলেন, "আমরা আমাদের অ্যাথলেটদের ত্রুটিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। পুরনো স্মৃতি কাটিয়ে উঠে এখন ভালো করতে তারা প্রস্তুত"।
অ্যাথলেটদের এই ভালো করার মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস। তবে জার্মানির অলিম্পিক দলের ডাক্তার জানিয়েছেন, আতঙ্ক থাকলেও বড় ধরনের বিপদ সৃষ্টির মতো কিছুই হয়নি।
রিও অলিম্পিকের মতো এত বড় একটি আসর যেন কোন ভাইরাসের সংক্রমণে পণ্ড না হয় সে প্রত্যাশাই বিশ্বের সব ক্রীড়ামোদীদের।
No comments:
Post a Comment