- রিও সামার অলিম্পিক ও প্যারা অলিম্পিকের সোনা, রূপা ও ব্রোঞ্জের পদক। এ ধরনের পাঁচ হাজারের বেশি পদক তৈরি করা হয়েছে সব ইভেন্টের প্রতিযোগিতার জন্য।
- ৪১টি ডিসিপ্লিনের ৩০৬টি ইভেন্টে অংশ নিতে এরই মধ্যে সাড়ে দশ হাজারের বেশি প্রতিযোগী ব্রাজিলের অলিম্পিক ভিলেজে পৌঁছে গেছেন। ২১ অগাস্ট পর্যন্ত চলবে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। ছবিতে পুরুষদের ভলিবল প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য বানানো সোনার পদকটি দেখানো হচ্ছে।
- ক্রিড়াবিদদের স্বপ্নের এ পদক বানানোর প্রক্রিয়াও কম রোমাঞ্চকর নয়। মূল প্রতিযোগিতা শুরুর কয়েক মাস আগে থেকে শুরু হয় এর তোড়জোড়। শুরুতে শ’ খানেক শিল্পী পদকের নকশা আঁকেন। সে অনুযায়ী কম্পিউটারে তৈরি হয় পদকের ছাঁচের প্রাথমিক নকশা। সেই ছাঁচ বাস্তব আদল পেতে লাগে প্রায় দুই সপ্তাহ সময়।
- অনুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত কাটিং মেশিন দিয়ে ওই ছাঁচের আদলকে নিখুঁত করে তোলা হয় এরপর। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রকৌশলের সমন্বয়ে বানানো এবারের পদকগুলোকেই অলিম্পিক ইতিহাসের ‘সবচেয়ে টেকসই’ পদক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
- ছাঁচে থাকা পদকের নিখুঁত গোল আকৃতি নিশ্চিত করার জন্য কারখানায় তিন দফা ৫৫০ টন চাপ প্রয়োগ করেন কারিগররা। এরপর দুই পাশে খোদাই করা হয় নকশা।
- সব পদকেই দেখা যাবে গ্রিক পুরানের জয়ের দেবী নাইকিকে। খোদাই করা পদকে তার মাথার উপরে থাকবে অলিম্পিকের পাঁচটি গোলাকার বৃত্ত। যে খেলার জন্য পদকটি দেয়া হচ্ছে, তার নাম থাকবে কোণার দিকে। অপর পাশে থাকবে রিও অলিম্পিক ২০১৬ এর লোগো।
- খোদাইয়ের পর উজ্জ্বলতা বাড়ানো আর ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করার ধাপ। সোনার পদকগুলোকে অবশ্য তরল সোনা দিয়ে ‘গোসলের’ আরেকটি ধাপ পেরুতে হয়। ৫০০ গ্রাম (১৭.৬ আউন্স) ওজনের এ পদকের জন্য লড়বেন উসাইন বোল্ট, মাইকেল ফেলপস ও অন্য ক্রীড়াবিদরা।
- সোনার এ পদকে অবশ্য স্বর্ণের পরিমাণ মাত্র ১.২ শতাংশ, যা দিয়ে আসলে কেবল পদকটি মোড়ানো হয়েছে। ভেতরের বেশিরভাগ অংশই রুপা। সোনার এ পদকের বাজার মূল্যও খুব বেশি না, মাত্র ৫৮৭ ডলার।
- পদকগুলোতে দেওয়া রূপা নেয়া হয়েছে ব্যবহৃত আয়না ও এক্স-রে প্লেট থেকে। আর ব্যবহৃত স্বর্ণেও পারদের প্রলেপ থাকছে না। পারদ দিয়েই স্বর্ণকে খনি থেকে আলাদা করা হয়; ঠিকমতো ব্যবহার না করলে ওই পারদ পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। এসব বিষয় বিবেচনা করেই পরিবেশবান্ধব পদক বলা হচ্ছে এগুলোকে।
- “এটা দারুণ এক তৃপ্তির ব্যাপার যে আমাদের কাজ ক্রীড়াবিদদের বুকের মধ্যে জ্বলজ্বল করবে, যারা এটা জিততে নিজেদের সবটা ঢেলে দিয়েছেন,” বলেন এ পদকের অন্যতম নকশা শিল্পী নেলসন নেতো কারনেইরো। ৪১ বছরের বেশি সময় ধরে ব্রাজিলের টাকশালে অসংখ্য মুদ্রা বানিয়েছেন এ শিল্পী। তবে সেসবের কোনটিই তার ভাষায় অলিম্পিক পদকের মতো ‘রোমাঞ্চকর’ নয়। তিনি বলেন, “মঞ্চ যখন বিজয়ী ক্রীড়াবিদদের দেখব, তখন মনে হবে... আরে এটা তো আমিই বানিয়েছি। মনে হবে, আমিও একটি পদক পেলাম।”
Wednesday, August 3, 2016
রিও অলিম্পিক সামনে রেখে ব্রাজিলে শ্রেষ্ঠত্বের পদক
রিও অলিম্পিক সামনে রেখে ব্রাজিলে রাজনৈতিক অস্থিরতা, আইএসের হামলার হুমকি, রাশিয়ার ক্রীড়াবিদদের ডোপ কেলেঙ্কারির পাশাপাশি আলোচনায় এসেছে এবারের পদকের নকশাও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পদকের নকশায় থাকছে শিল্প আর বিজ্ঞানের মিশেল। সেই সঙ্গে এই পদক হবে পরিবেশবান্ধব। এবারের পদক তৈরির খুঁটিনাটি জানাচ্ছে রয়টার্স।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


No comments:
Post a Comment