নেইমার। অধরা সোনাটি এনে দাও এবার। গান বাধছেন ব্রাজিলের কেউ কেউ। তারা বিশ্বাসও করছেন, এবার ঘরের মাঠের অলিম্পিক থেকে প্রথমবারের মতো ফুটবলের সোনা জিতবে ব্রাজিল। নেইমারই হবেন সেই তালিসমান। নেইমারের ওপর তাই দেশকে সোনা এনে দেওয়ার চাপ।
ব্রাজিল সবার বেশি ৫বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। অথচ অলিম্পিক ফুটবলের সোনা জেতা হয়নি কখনো। এখন আবার তাদের ফুটবলে অনেক ক্ষত। গেলোবার ঘরের বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হারের দুঃসহ স্মৃতি আছে। এবারের কোপা আমেরিকার প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায়ের কষ্ট সঙ্গী। সব ভুলতে আবার নেইমার ও অলিম্পিক ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত দেশটি। একটি সোনাই ঘুঁচিয়ে দিতে পারে তাদের সাম্প্রতিক ব্যর্থতার বেদনা।
রোগেরিও মিকালে ব্রাজিলের অনূর্ধ্ব-২০ দলকে গত বছর বিশ্বকাপের ফাইনালে নিয়েছিলেন। অলিম্পিকে এই দলেরও কোচ। তিনিও সব ছক আটছেন নেইমারকে কেন্দ্র করে। "আমি নেইমারের ওপর নির্ভর করতে চাই।" কোচ বলেছেন, "বিশ্বের কোন কোচই বা নেইমারকে দলে পেতে চাইবে না? নেইমার আমার প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। সে ভালো ছেলে। তরুণদের সাথেও সে খুব ভালো। সবাই তাকে ভালোবাসে।"
২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে ব্রাজিল দলের সদস্য ছিলেন নেইমার। সেবার ফাইনালে মেক্সিকোর কাছে অপ্রত্যাশিত হারে ভেঙেছিল সোনার স্বপ্ন। নেইমার এখন ২৪ বছরের। ২৩ বছরের বেশি যে তিন খেলোয়াড় নেওয়ার নিয়ম তারই একজন। অলিম্পিকে খেলবেন বলেই বার্সেলোনার ফরোয়ার্ড কোপায় খেলেননি। নিজেও জানেন তার কাছে সবার চাওয়া কি।
ব্রাজিল খাতা কলমে এবারের অলিম্পিকের ফুটবল সোনা জেতার ফেভারিট। সবচেয়ে বড় হুমকি আর্জেন্টিনা। কিন্তু ১৮ সদস্যের দলটি ধারাবাহিকতা রাখতে পারলে যে কাউকে হারাতে পারবে। দুই বিস্ময় বালক গ্যাব্রিয়েল বারবোসা ও গ্যাবরিয়েল জেসাস আছেন নেইমারের সাথে অ্যাটাকে। দুজনই যথাক্রমে সান্তোস ও পালমেইরাস থেকে সম্ভবত অলিম্পিকের পর বড় টাকায় পাড়ি জমাবেন ইউরোপের বড় কোনো ক্লাবে। প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের ডিফেন্ডার মারকুইনহোস ও নেইমারের বার্সা টিমমেট রাফিনহা আছেন ব্রাজিল দলে। দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক ও ডেনমার্কের সাথে গ্রুপ পর্বে লড়বে ব্রাজিল।


No comments:
Post a Comment