অলিম্পিক শহর ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোতে ডাকাতির শিকার হওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আনায় প্রায় ১১ হাজার ডলার জরিমানা গুণতে হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্বর্ণপদক জয়ী সাতারু জিমি ফিগেনকে।
ব্রাজিলের কোনো দাতব্য সংস্থায় তিনি এই অর্থ দেওয়ার পর পাসপোর্ট ফিরে পাবেন বলে শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ফিগেনের সঙ্গী যুক্তরাষ্ট্রের আরেক স্বর্ণপদক জয়ী সাতারু রায়ানা লকটি। খ্যাতিমান সাঁতার তারকা লকটিই ডাকাতির গল্প ছড়িয়েছিলেন।
তিনিসহ যুক্তরাষ্ট্রের চারজন সাঁতারু রিও ডি জেনেইরোতে পুলিশের ছদ্মবেশে থাকা অস্ত্রধারীদের কবলে পড়েছিলেন বলে গত রোববার সাংবাদিকদের বলেন লকটি। তিনি বলেন, তার কপালে বন্দুক ঠেকানো হলেও তিনি মাথা নোয়াতে অস্বীকার করেন।
তার এই ব্ক্তব্য নিয়ে সংবাদ শিরোনাম হলে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে ব্রাজিল পুলিশ।এই ডাকাতির কথা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে, যাতে দেখা যায় এই সাঁতারুরা একটি পেট্রোল স্টেশনে ভাংচুর করছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের তারকা সাঁতারু রায়ান লকটি ডাকাতির গল্পটি ছড়িয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই দুই সাঁতারুকে বৃহস্পতিবার রাতে ফ্লাইট থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ব্রাজিল পুলিশ।
মঙ্গলবার ওই ফুটেজ প্রকাশের পরদিন নিজের বিবরণে অতিরঞ্জনের কথা স্বীকার করেন লকটি। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এই চার সাঁতারুর পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দেয় ব্রাজিলের একটি আদালত। তবে ততোক্ষণে ব্রাজিল ছেড়েছিলেন লকটি।
ওই দলের অপর দুই সাঁতারু গানার বেন্টজ ও জ্যাক কংগার বৃহস্পতিবার রাতে রিও ডি জেনেইরো ছাড়তে গেলে তাদের ফ্লাইট থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
মিথ্যা ডাকাতির অভিযোগের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন বলে দাবি করেন এই দুই সাঁতারু। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের অন্য একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
তিনজন এভাবে পার পেলেও আটকে যান জিমি ফিগেন। পাসপোর্ট জব্দের পাশাপাশি গ্রেপ্তার হন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর বৃহস্পতিবার রফা হয় বলে জিমির আইনজীবী ব্রেনো মেলারাগনো জানান।
তিনি বলেন, “তিনি ৩৫ হাজার রিয়েইজ (১০ হাজার ৮০০ ডলার) কোনো একটি সংস্থায় দান করবেন এবং এতে মামলাটি শেষ হবে।
“অর্থ দিলে তাকে তার পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং দেশে ফেরার জন্য তিনি মুক্ত হবেন।”
তবে কোন দাতব্য সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে এই অর্থ দেওয়া হবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
পেট্রোল পাম্পে যুক্তরাষ্ট্রের চার সাঁতারু
পেট্রোল পাম্পের এই বাথরুমে ভাংচুর করে ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরে এ নিয়ে ডাকাতির গল্প ফেঁদেছিলেন মার্কিন সাঁতারুরা।
রিও’র বেসামরিক পুলিশ প্রধান ফার্নান্দো ভেলোসোকে উদ্বৃত করে বিবিসি জানায়, “এই অ্যাথলেটদের কোনো ডাকাতি হয়নি। তারা কোনো অপরাধের শিকার ছিলেন না, যা তারা দাবি করেছেন।”
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই অ্যাথলেটদের মধ্যে এক বা একাধিকজন একটি পেট্রোল স্টেশনে ভাংচুর করেন। এরপর তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। পরে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার পর তারা ক্ষতিপূরণ দিয়ে সেখান থেকে চলে যান।
তবে একজন সাঁতারু অশ্রাব্য ভাষার সঙ্গে বাজে আচরণ শুরু করলে প্রহরীদের একজন তার দিকে বন্দুক তুলেছিলেন বলে জানান ভেলোস।
ব্রাজিলের এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই সাঁতারুরা ভাংচুরের পর ঘটনাটি নিয়ে মিথ্যা গল্প বলে যা করেছেন… কী ঘটেছিল তা নিয়ে বার বার নিজেদের ভাষ্য বদলেছেন, তাতে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য প্রদান ও ভাংচুরের অভিযোগ আনা যেত।
ব্রাজিলের কোনো দাতব্য সংস্থায় তিনি এই অর্থ দেওয়ার পর পাসপোর্ট ফিরে পাবেন বলে শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন ফিগেনের সঙ্গী যুক্তরাষ্ট্রের আরেক স্বর্ণপদক জয়ী সাতারু রায়ানা লকটি। খ্যাতিমান সাঁতার তারকা লকটিই ডাকাতির গল্প ছড়িয়েছিলেন।
তিনিসহ যুক্তরাষ্ট্রের চারজন সাঁতারু রিও ডি জেনেইরোতে পুলিশের ছদ্মবেশে থাকা অস্ত্রধারীদের কবলে পড়েছিলেন বলে গত রোববার সাংবাদিকদের বলেন লকটি। তিনি বলেন, তার কপালে বন্দুক ঠেকানো হলেও তিনি মাথা নোয়াতে অস্বীকার করেন।
তার এই ব্ক্তব্য নিয়ে সংবাদ শিরোনাম হলে বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে ব্রাজিল পুলিশ।এই ডাকাতির কথা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয় একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে, যাতে দেখা যায় এই সাঁতারুরা একটি পেট্রোল স্টেশনে ভাংচুর করছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের তারকা সাঁতারু রায়ান লকটি ডাকাতির গল্পটি ছড়িয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই দুই সাঁতারুকে বৃহস্পতিবার রাতে ফ্লাইট থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ব্রাজিল পুলিশ।
ওই দলের অপর দুই সাঁতারু গানার বেন্টজ ও জ্যাক কংগার বৃহস্পতিবার রাতে রিও ডি জেনেইরো ছাড়তে গেলে তাদের ফ্লাইট থেকে নামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
মিথ্যা ডাকাতির অভিযোগের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন বলে দাবি করেন এই দুই সাঁতারু। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের অন্য একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
তিনজন এভাবে পার পেলেও আটকে যান জিমি ফিগেন। পাসপোর্ট জব্দের পাশাপাশি গ্রেপ্তার হন তিনি।
বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর বৃহস্পতিবার রফা হয় বলে জিমির আইনজীবী ব্রেনো মেলারাগনো জানান।
তিনি বলেন, “তিনি ৩৫ হাজার রিয়েইজ (১০ হাজার ৮০০ ডলার) কোনো একটি সংস্থায় দান করবেন এবং এতে মামলাটি শেষ হবে।
“অর্থ দিলে তাকে তার পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেওয়া হবে এবং দেশে ফেরার জন্য তিনি মুক্ত হবেন।”
তবে কোন দাতব্য সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে এই অর্থ দেওয়া হবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
পেট্রোল পাম্পে যুক্তরাষ্ট্রের চার সাঁতারু
পেট্রোল পাম্পের এই বাথরুমে ভাংচুর করে ক্ষতিপূরণ দিয়ে পরে এ নিয়ে ডাকাতির গল্প ফেঁদেছিলেন মার্কিন সাঁতারুরা।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই অ্যাথলেটদের মধ্যে এক বা একাধিকজন একটি পেট্রোল স্টেশনে ভাংচুর করেন। এরপর তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। পরে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করার পর তারা ক্ষতিপূরণ দিয়ে সেখান থেকে চলে যান।
তবে একজন সাঁতারু অশ্রাব্য ভাষার সঙ্গে বাজে আচরণ শুরু করলে প্রহরীদের একজন তার দিকে বন্দুক তুলেছিলেন বলে জানান ভেলোস।
ব্রাজিলের এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই সাঁতারুরা ভাংচুরের পর ঘটনাটি নিয়ে মিথ্যা গল্প বলে যা করেছেন… কী ঘটেছিল তা নিয়ে বার বার নিজেদের ভাষ্য বদলেছেন, তাতে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য প্রদান ও ভাংচুরের অভিযোগ আনা যেত।


No comments:
Post a Comment