শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে 'দৈনিক আমার কাগজ' পত্রিকার ১৪ বছর পদার্পণ উপলক্ষে ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন: কমিউনিটি পুলিশিং ও গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান হামলায় মাস্টারমাইন্ড হিসেবে পুলিশের চিহ্নিত তামিম আহমেদ চৌধুরী দেশেই আছেন। এই তামিমই আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের বাংলাদেশ শাখার কথিত প্রধান শায়খ আবু ইব্রাহিম আল হানিফ বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম। তবে বাংলাদেশে আইএসের অস্তিত্ব নেই বলে দাবি করেন তিনি।
আইজিপি বলেন, আমরা জঙ্গিদের মাস্টার মাইন্ড দুইজনের জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছি। এরা দেশের ভেতরেই আছে। আপনারা আমাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন। আপনাদের পরিচয় সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে। প্রয়োজনে সরাসরি তাকে ফোন করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
জঙ্গিদের পথ ভূল উল্লেখ করে শহীদুল হক বলেন, জঙ্গিরা চায় এদেশে কোন অমুসলিম থাকতে পারবে না। এ জন্য তারা হিন্দু পুরোহিতদেরকে হত্যা করেছে। কিন্তু মদীনার সনদে দেখা যায়, সেখানে সব ধর্মের লোক বাসবাস করতেন। শান্তির জন্য বিধর্মীদের সকল শর্ত মেনে নেওয়া হয়েছিল।
সন্তানদের প্রতি নজর রাখতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, তারা যেন সঠিক পথে তাদের মেধার চর্চা করে, বিপথে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তরুণদের অবদান স্বীকার করে পুলিশ প্রধান বলেন, তরুণদের বহুমুখী বিকাশ ঘটছে। তাদের বিকাশে বাধা নেই। তবে অতিরিক্ত মুক্তচিন্তা করতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন।
আটকদের অনেকবার বুঝিয়েও কোনো ফল পাননি। তবে মোটিভেশন হওয়ার আগেই তরুণদের নিয়ে কাজ করার কথা বলেন তিনি। এজন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর এটা শুরু করতে হবে পরিবার থেকে। পিতা-মাতাকে তার সন্তানের প্রতি তীক্ষ্ম নজরদারি করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানেরও দায়িত্ব আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সেমিনারে দৈনিক আমার কাগজ পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি আলাউদ্দীনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, বিএফইউজের সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম শামীম চৌধুরী, দৈনিক আমার কাগজ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ফজলুল হক মিয়া রানা, বাংলাদেশর টেলিভিশনের ভাষ্যকার মুফতি মাওলানা কামাল উদ্দীন প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন গণমাধ্যমকর্মী মীর আশফাকুজ্জামান।


No comments:
Post a Comment