মালির টিমবাকতুতে ইউনেস্কো ঘোষিত ঐতিহাসিক স্থাপনা ধ্বংসের কথা স্বীকার করেছেন একজন জঙ্গি। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) এ ধরনের প্রথম কোনো বিচার চলছে।
আহমাদ আল-ফাকি আল-মাহদি নামে ওই ইসলামি জঙ্গি তার কৃতকর্মের জন্য দুঃখও প্রকাশ করেন। মাহদি ২০১২ সালে ঐতিহাসিক সমাধি মন্দির ধ্বংস করা একটি বিদ্রোহী গ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।
কৌঁসুলিরা বলেন, মাহদি কয়েক মাসের জন্য টিমবাকতু দখল করে রাখা ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী আনসার দাইনের সদস্য। তাকে গ্রেফতারের জন্য আইসিসি একটি সমন জারি করার পর নাইজারের সরকার তাকে হস্তান্তর করে। আইসিসিকে মাহদি বলেন, ‘দুঃখজনকভাবে আমাকে বলতে হবে যে, এখন পর্যন্ত আমি যা শুনেছি তা সঠিক এবং এগুলো ঘটনাগুলোকে প্রতিফলিত করে। আমি দোষ স্বীকার করি।’ দোষ স্বীকার করে নেয়ায় আগামী সপ্তাহে তার বিচার শেষ হতে পারে। তিনি সর্বোচ্চ ৩০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
কাদামাটি ও কাঠের স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ স্থাপত্যের জন্য টিমবাকতু বিখ্যাত। ত্রয়োদশ থেকে সপ্তদশ শতকের মধ্যে ইসলামী জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চারও একটি কেন্দ্র ছিল এটি। ১৯৮৮ সালে টিমবাকতুকে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। -বিবিসি
No comments:
Post a Comment