শুল্ক গোয়েন্দাদের করা মানিলন্ডারিং মামলায় হুন্ডি ব্যবসায়ী তাজিম আনোয়ার যেন দেশ ছেড়ে যেতে না পারেন সে জন্য অতিরিক্ত আইজিপি, স্পেশাল ব্রাঞ্চ বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী মুহম্মদ জিয়াউদ্দীন স্বাক্ষরিত এ চিঠি সম্প্রতি পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি বরাবর পাঠানো হয়। অন্যদিকে তাজিম আনোয়ার যেন নতুন করে পাসপোর্ট বানাতে না পারে সেজন্যও ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালককেও চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।
হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মানিক বাদী হয়ে গত ২৯ মার্চ তাজিম আনোয়ারসহ ৫ জনকে আসামি করে মতিঝিল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাজিম আনোয়ারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে দেশী-বিদেশী মুদ্রা বিদেশে পাচার করে এবং স্বর্ণ চোরাচালানের অর্থসহ বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ের ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসের অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে প্রেরণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
হুন্ডি ব্যবসার মাধ্যমে অর্থ পাচারের অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মানিক বাদী হয়ে গত ২৯ মার্চ তাজিম আনোয়ারসহ ৫ জনকে আসামি করে মতিঝিল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তাজিম আনোয়ারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে দেশী-বিদেশী মুদ্রা বিদেশে পাচার করে এবং স্বর্ণ চোরাচালানের অর্থসহ বিভিন্ন আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ের ওভার ও আন্ডার ইনভয়েসের অর্থ অবৈধভাবে বিদেশে প্রেরণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা গত ২৮ মার্চ তাজিম আনোয়ারের মতিঝিলের প্রতিষ্ঠানে তল্লাশী চালায়। এসময় ব্যাগ ভর্তি ৯ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এই টাকার উৎস সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ফরিদ এবং তার বন্ধু পরিচয় দানকারী তরুণ দত্ত জানান, এই টাকা ভারতে হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রাখা হয়েছে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ এইভাবে টাকা পাচার করে আসছেন বলে তারা স্বীকার করেন। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক তাজিম আনোয়ারের বাসায় বিপুল পরিমাণ টাকা রয়েছে বলে গোপন সংবাদ থাকায় তাদেরকে সাথে নিয়ে বাদী তাজিম আনোয়ারের সেগুনবাগিচার ফ্ল্যাটে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত টিম তল্লাশী চালিয়ে বাসার বাথরুম থেকে একটি কালো ব্যাগে ৫৮ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করে। ফ্ল্যাটে তল্লাশীকালে তাজিম আনোয়ারের স্ত্রী মিসেস আয়েশা সিদ্দিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি এই টাকার উৎস ও বৈধতা সম্পর্কে কোনো প্রকার সদুত্তর দিতে পারেননি এবং তিনি জানান যে, তার স্বামী এই বিপুল পরিমাণ টাকা অবৈধ হুন্ডি ব্যবসার জন্য বাসায় এনে রেখেছেন। এর ফলে শুল্ক গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে যে, আটককৃত আসামিগণ হুন্ডি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
No comments:
Post a Comment