Social Icons

Sunday, April 1, 2018

নিয়োগকর্তা দ্বারাই সৌদিতে যৌন নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশি নারীরা

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবে যেসব নারী কর্মী কাজের জন্য ছুটে যাচ্ছে, তাদের বেশিরভাগ নারী নিয়োগকর্তার দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে, এসব নারীরা কর্মস্থল ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে (সেইফ হোম) পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে যাওয়া নারীদের ভয়াবহ অবস্থা তুলে ধরে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডলইস্ট আই।
আজ শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে পত্রিকাটি জানিয়েছে, নিয়োগকারীদের দ্বারা যৌন ও শারিরীকভাবে নিপীড়নের শিকার হয়ে শত শত নারী কাজ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এসব নারীদের থাকার জন্য আশ্রয় কেন্দ্র (সেইফ হোম) খুলতে হয়েছে বাংলাদেশ সরকারকে। রিয়াদ থেকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ফাঁস হওয়া গোপনীয় কূটনৈতিক বার্তা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে বলে দাবি মিডলইস্ট আই’র।
‘পালিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে আসা নারীরা অভিযোগ করেন নিয়োগকর্তারা তাদের ওপর নানা ধরনের নিপীড়ন চালান। কেউ আবার অসুস্থ হয়েও আসেন। তাই তারা এখানে আশ্রয় নিতে চান।’
২০১৫ সালে লেখা ওই কূটনৈতিক বার্তায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ জন নারী আশ্রয় কেন্দ্রে আসেন। অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকা নারীদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করতে রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তারা আশ্রয়ে কেন্দ্রে আরও আসন বৃদ্ধি ও সিসিটিভি পাঠানোর অনুরোধ করেছেন ওই বার্তায়।
 এছাড়া একজন কাউন্সেলর পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে বার্তায় আরও বলা হয়, আশ্রয় কেন্দ্রে আসা নারীদের সহযোগিতার জন্য দূতাবাসে কোনো নারী কূটনীতিক নেই। আশ্রয় নেয়া নারীরা দেশে ফিরে আসতে দূতাবাসের সহযোগিতা চেয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, তাদের সাথে পোসপোর্ট বা অন্যান্য কাগজপত্র থাকে না। মিডলইস্ট আই’কে কয়েকজন নারী জানিয়েছেন, সৌদি আরবে পৌঁছার পরপরই গৃহকর্তারা তাদের কাছ থেকে সব ধরনের কাগজপত্র নিয়ে নেয়। এতে অনেকের পক্ষে সহজে দেশে ফিরে আসা সম্ভব হয় না।
আবার কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করে তাদের দেশে ফেরার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করেন নিয়োগকর্তারা। ফাঁস হওয়া কূটনৈতিক বার্তায় বলা হয়েছে, এমন ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীকে দেশে ফিরতে কখনো ১৫ দিন বা এক মাস আবার কখনো ৬ মাস পর্যন্ত সময় লাগে।
সৌদিতে এ ধরনের আশ্রয় কেন্দ্রে সংখ্যা কত তার কোনো নির্দিষ্ট তথ্য বার্তায় দেয়া হয়নি। তবে ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী, জেদ্দা এবং রিয়াদে অন্তত ২৫০ জন নারী আশ্রয় কেন্দ্রে ছিলেন। গত চার বছরে সৌদি আরবে নারী গৃহকর্মী যাওয়ার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ৭ বছরে ৫ হাজারের কিছু বেশি নারী সৌদি গিয়েছিলেন। এরপর ২০১৫ সালে যান ২১ হাজার জন, ২০১৬-তে ৬৮ হাজার, ২০১৭-তে ৮৩ হাজার বাংলাদেশি নারী সৌদিতে গিয়েছেন। আর চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে গেছেন ১৬ হাজারের বেশি।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates