সৌদি আরবে নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার রাজধানী রিয়াদে অভিযানে চালিয়ে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে দুজন পুরুষ রয়েছেন, যারা নারী অধিকারের পক্ষে কাজ করেন।
আজ শনিবার বিবিসি জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের কারণ জানা না গেলেও অধিকারকর্মীরা বলছেন, কর্তৃপক্ষ নারীদের কণ্ঠস্বর রোধ করতে চাচ্ছে।
সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদ চ্যানেল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগে নারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সৌদি নারীদের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণে পুরুষের অনুমতি প্রয়োজন হয়। এ ছাড়া বাইরে যেতে হলে কোনো পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়। এখনো পর্যন্ত নারীরা একা একা গাড়ি চালাতে পারেন না। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহের এ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া নারীদের মধ্যে লওজাইন আল-হাথলাওল, আজিজা আল-ইউসেফ ও ইমান আল-নাফজান রয়েছেন। তাঁরা প্রকাশ্যে নারীদের গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছেন বিভিন্ন সময়। একইসঙ্গে সৌদি রাজ্যের অভিভাবক আইন নিয়েও সমালোচনা করেন তাঁরা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব। কিছু সংস্কার করে আগামী মাসে এটা কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
সৌদি আরবে সম্প্রতি বেশ কিছু সংস্কারের পেছনে রয়েছেন মূলত রাজপুত্র ৩২ বছর বয়সী মোহাম্মদ বিন সালমান। তাঁর উদ্যোগেই ‘ভিশন ২০৩০’ কর্মসূচি চালু হয়, যাতে তেল নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসা এবং সৌদি সমাজ বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে।
সালমানের এ সংস্কারের কারণে একজন নারী কোনো পুরুষের অনুমতি ছাড়া ব্যবসা করতে পারবেন।
তবে পরিবর্তনের উদ্যোগ এখনো পর্যন্ত মসৃণ হয়নি। সর্বশেষ গত বছরের নভেম্বরে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে প্রভাবশালী রাজপুত্র, ব্যবসায়ী, মন্ত্রীদের আটক করা হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment