সোমবার দুপুরে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অতিরিক্ত দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন চরসোনাপুর গ্রামের বজলুর রহমান ভূইয়ার ছেলে পারভেজ ও একই গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে সেলিম। এদের মধ্যে পারভেজ পলাতক রয়েছেন। একইসঙ্গে তাদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিন আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহম্মদ হাজারী জানান, ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর বিকেলে সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের মুহুরী প্রজেক্ট এলাকায় বেড়াতে যান ওই গ্রামের জিয়াউর রহমান খোরশেদের গৃহকর্মী পারভীন আক্তার (২২)। বাড়ি ফেরার পথে পারভেজ ও সেলিম তাকে তুলে পাশের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তারা মোবাইলে ফোন করে আরো ৫-৬ বন্ধুকে ডেকে আনে। ঘটনার দুই দিন পর ২৮ অক্টোবর পারভীন আক্তার বাথরুমে ঢুকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা করেন। পরদিন গৃহকর্তা জিয়াউর রহমান খোরশেদ বাদী হয়ে সেলিম ও পারভেজের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরো কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাগাজী থানার তৎকালীন এসআই মো. মঈনুল হোসেন পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
No comments:
Post a Comment