শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার আলাদাভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে বৈঠকে তারা এ অসন্তোষের কথা জানান। অপরদিকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষায় সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। যা ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হচ্ছে। নিরাপত্তা ঝুঁকি সম্পর্কে আপনাদের তথ্যগুলো (ইনফরমেশন) স্পেসিফিকভাবে বলতে হবে। অল্প করে বললে আমরা ঠিকভাবে পদক্ষেপ নিতে পারবো না। তখন নিরাপত্তা ঘাটতি থেকে যেতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ১১টা ১০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটির অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স অ্যালান বার্সিনের নেতৃত্বাধীন দলের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বৈঠক শুরু হয়। ২৫ মিনিটের সংক্ষিপ্ত এ বৈঠকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা এবং অবৈধ বাংলাদেশিদের প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়।
এ সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের আইজি একেএম শহিদুল হক, র্যাবের ডিজি বেনজির আহমেদ এবং ডিআইজি মনিরুল ইসলামসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) সিজে কলিনস, ডেপুটি চিফ মিশন ডেভিড মিয়ালি, ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (টিএসএ) রাসেল ম্যাকগ্লেনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এরপর বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি সারাহ সুয়লের নেতৃত্বাধীন দলটির সঙ্গে প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বেসামরিক নিরাপত্তা বিষয়ক মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি সারাহ সুয়লের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, জঙ্গি বা সন্ত্রাস দমন করতে গিয়ে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা? জানতে চেয়েছেন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এদিকে যুক্তরাজ্যের মতো যুক্তরাষ্ট্রও বিমানবন্দরের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করছে। তাদের মতো অন্যান্য দেশগুলো বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে সমানভাবে উদ্বিগ্ন। যুক্তরাজ্যের বেঁধে দেয়া ৩১ মার্চ ডেডলাইনের মধ্যে কি কি দৃশ্যমান উন্নতি হয়েছে এমন প্রশ্নে বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। বিমান মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment