Friday, July 1, 2016
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে টেরেসা মে
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে আরও এগিয়ে গেলেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে। ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের এই নেত্রী সম্প্রতি আরো দুই মন্ত্রীর সমর্থন পেয়েছেন। এ নিয়ে ৭০ এমপির সমর্থন পেলেন তিনি। এ ছাড়া ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেইলে’রও সমর্থন পেয়েছেন টেরেসা মে। খবর বিবিসির। সর্বশেষ টেরেসা মেকে সমর্থন দিয়েছেন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের দুই মন্ত্রী মাইকেল ফ্যালন ও প্যাট্রিক লফলিন। এর আগেই অবশ্য তাকে সমর্থন দিয়েছেন অপর তিন ব্রিটিশ মন্ত্রী ক্রিস গ্রেলিং, জাস্টিন গ্রিনিং ও ডেভিড মানডেল। এরই মধ্যে অনেকটা আকস্মিক ভাবেই বৃহস্পতিবার সাবেক কলাম লেখক কনজারভেটিভ নেতা মাইকেল গোভ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রচারণায় নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করে প্রথম ভাষণ দিয়েছেন। জানা গেছে, ব্রেক্সিট আন্দোলনকারী বরিস জনসনের সমর্থন পাচ্ছেন এই কনজারভিটভ নেতা। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য এরই মধ্যে প্রার্থী হয়েছেন কনজারভেটিভ নেতা স্টিফেন ক্রাব, আন্ড্রিয়া লিডসম ও লিয়াম ফক্স। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৫ প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী পার্লামেন্টের ৩২৯ কনজারভেটিভ এমপির মধ্যে প্রচারণা চালাবেন। পরে প্রথম ধাপের ভোট হবে। প্রতি ধাপে সর্বনিম্ন ভোটপ্রাপ্ত প্রার্থী বাদ পড়বেন। এভাবে সর্বশেষ দুজন প্রার্থী টিকবেন। এর পর বড় পরিসরে কনজারভেটিভ দলের মধ্যে ওই দুই প্রার্থীর ওপর ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর কনজারভেটিভ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যুক্তরাজ্যের থাকা না-থাকার গণভোটে ব্রেক্সিটের (যুক্তরাজ্যের ইইউয়ে না থাকা) জয়ের পর, ইইউ থাকার পক্ষে আন্দোলনকারী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এর পর থেকেই যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। ব্রেক্সিট আন্দোলনে বড় ভূমিকা রাখা কনজারভেটিভ নেতা বরিস জনসনকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ধারণা করা হয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় নিজের অনিচ্ছার কথা বলেন জনসন।
Labels:
আন্তর্জাতিক
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment