ব্রাজিলের ফুটবলের যাত্রা যার হাত ধরে শুরু হয়েছিল, সেই চার্লস উইলিয়াম মিলারের জন্ম সাও পাওলোতে। ‘ব্রাজিলের ফুটবলের পিতা’ নামে পরিচিত মিলার সাও পাওলো শহরে ফুটবল খেলা প্রচলন করেন ১৮৯৪ সালে।
জনসংখ্যার বিচারে ব্রাজিলের বৃহত্তম শহর। একই সাথে এটি দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ গোলার্ধের বৃহত্তম শহর। শহরটি ব্রাজিলের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে সাও পাওলো প্রদেশে অবস্থিত। এটি ব্রাজিলের সবচেয়ে সম্পদশালী শহর।
সাও পাওলো হল সাধু পলের পর্তুগিজ নাম। আশেপাশের শহরতলী নিয়ে গঠিত বৃহত্তর সাঁউ পাউলু নগরীতে প্রায় ২ কোটি লোক বাস করেন।
সাও পাওলো শহরের অধিবাসীদেরকে পাউলিস্তানু ডাকা হয়।
ফুটবলের দেশ হিসেবে আমরা সবাই ব্রাজিলকে চিনি। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি বিশাল, এখানে রয়েছে অ্যামাজন বন। কৃষিপ্রধান এই দেশের বিষয়ে সংক্ষেপে কিছু জেনে নিতে পার তোমরা। তথ্যগুলো নেওয়া হয়েছে সায়েন্সকিডজ নামের একটি ওয়েবসাইট থেকে।
১. ব্রাজিল দক্ষিণ আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশ।
২. ‘ব্রাজিলউড’ নামের একটি গাছ থেকে ‘ব্রাজিল’ নামটি হয়েছে।
৩. পর্তুগিজ ভাষায় একে বলা হয় ‘ব্রাসিল’, দেশটির দাপ্তরিক ভাষাও পর্তুগিজ!
৪. দক্ষিণ আমেরিকায় ব্রাজিলই একমাত্র পর্তুগিজ ভাষাভাষী দেশ।
৫. ১৫০০ বছর দেশটি দখলে রেখেছিল পর্তুগাল। ব্রাজিল স্বাধীন হয় ১৮২২ সালে।
৬. আয়তন ও জনসংখ্যায় ব্রাজিলের অবস্থান পৃথিবীতে ৫ম।
৭. ২০১২ সালে ব্রাজিলের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২০ কোটি।
৮. ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়া, আর সবচেয়ে বড় দেশ সাও পাওলো। আরো কিছু বড় ও বিখ্যাত শহর হল রিও ডি জেনিরো, সালভাদর এবং ফোর্তালেজা।
৯. রাস্তার ডানপাশ দিয়ে ব্রাজিলে গাড়ি চালানো হয়।
১০. ব্রাজিলের টাইম জোন তিনটি! অর্থাৎ দেশের তিনটি জায়গায় তিন রকম সময়!
১১. ব্রাজিলের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে অ্যামাজন নদী, যা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী।
১২. অ্যামাজনের রেইনফরেস্টের ৬০ শতাংশ অঞ্চল ব্রাজিলে।
১৩. বহু বিচিত্র প্রাণীর আদি নিবাস ব্রাজিলে-আর্মাডিলো, ট্যাপির, জাগুয়ার, পুমা।
১৪. প্রতি বছর ব্রাজিলে বেড়াতে আসেন লাখ লাখ পর্যটক।
১৫. ব্রাজিলে বিমানবন্দর রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার।
১৬. ফুটবল ব্রাজিলের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। ব্রাজিল মোট পাঁচবার বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
No comments:
Post a Comment