ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের নিকটবর্তী বাংলাদেশি-অধ্যুষিত গার সার্সেল এলাকায় জাবের আহমদ নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশির গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো সোমবার কাজ থেকে ফেরার পথে একদল আফ্রিকান সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে আহত হন সিলেটের গোলাপগঞ্জ এলাকার জাবের।
খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী গণেশ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ডাক্তাররা তাকে বিশ্রামের থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
এর আগেও ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় সন্ত্রাসীরা গুলি করে গুরুতর আহত করেছিল সিলেট এর গোলাপগঞ্জ এলাকায় রুহুল আমিন নামে এক প্রবাসীকে।
এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে প্রবাসীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
পাশাপাশি তীব্র অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রবাসীরা জানায়, গার সার্সেল, সেন্ট ডেনিস, বারভেজ, লা কনোভ, ক্যাথ সীমাসহ প্যারিসের ভেতরে কয়েকটি এলাকায় প্রায় বাংলাদেশিদের আফ্রিকান ও আরবি সন্ত্রাসীদের দ্বারা ছিনতাই, হুমকি ও মারধরের ঘটনা ঘটছে।
বাংলাদেশিরা ভালোভাবে ফ্রান্সের স্থানীয় ভাষা না জানার কারণে প্রশাসনকে সমস্যার কথা বোঝাতে পারেন না। এর ফলে তারা সঠিক সহযোগিতা পায় না। এর ফলে বাংলাদেশিদের ওপর গুলির মতো ঘটনা ঘটছে বলে জানান ভুক্তভোগীরা।
এ ধরনের হামলার শিকার নোয়াখালীর হালিম জানান, তিন দিন আগে কাজ থেকে ঘরে ফেরার সময় সেন্ট ডেনিস গারে আরবি সন্ত্রাসীরা পেছন থেকে তার মাথায় বাড়ি মারে, কোনো কিছু বোঝার আগেই তার স্যামসাং এস এইট মোবাইল ও নগদ টাকা নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে হালিম জানান, ফ্রান্সে ব্যাঙের ছাতার মতো বাংলাদেশ কমিউনিটির নামসর্বস্ব শতাধিক সংগঠন থাকলেও দু-একটি ছাড়া প্রবাসীদের অধিকার ও সমস্যা নিয়ে জোরালো দাবি করার মতো কেউ নেই।
নতুবা এ ধরনের ঘটনার পর হাজারও প্রবাসী নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ হলে বাংলাদেশিদের ওপর বারবার এমন হামলা হতো না।
ভুক্তভোগীরা বলেন, কমিউনিটিতে ফেসবুক ও মাইক্রোফোন হাতে হাজারও নেতা আছেন ঠিকই, কিন্তু সমস্যা নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার কেউ নেই।
তবে অল ইউরোপিয়ান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন (আয়েবা), বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন ফ্রান্স (বিসিএফ), অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব, ইপিবিএ, প্যারিস বাংলা প্রেসক্লাবের নেতারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন এবং আহত জাবেরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।