Sunday, November 29, 2015
পৌর নির্বাচন করতে হবে ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে -সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছেন, আমরা জানুয়ারিতে নির্বাচন করতে পারবো না। জানুয়ারি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ নিয়ে ইসি ব্যস্ত থাকবে। খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে হবে, আপত্তি শুনতে হবে, সেগুলো নিষ্পত্তি করতে হবে। আইন মোতাবেক নির্বাচন করার জন্য ৩০ ডিসেম্বরই শেষ সুযোগ। এ দিনে নির্বাচন করা না হলে ইসিকে আইন ভঙ্গ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আজ রোববার বিকেল ৫টায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। সিইসি আরো জানান, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে। এরপর এইচএসসি পরীক্ষা হবে। কাজেই এর মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। কিন্তু ৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের অনুষ্ঠানের সময়সীমা শেষ হয়ে যাবে। আইন অনুযায়ী নির্বাচন করতে হলে এরমধ্যে ভোট গ্রহণ করতে হবে। আমাদের ও কিছু আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সামনে পরীক্ষা, বিশ্ব ইজতেমা, ভোটার তালিকা হালনাগাদ রয়েছে। এ সব কারণে ৯০ দিন পেরিয়ে যাবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতেই ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে যাচ্ছি। বিএনপির সময় বাড়ানোর দাবির বিষয়ে সিইসি বলেন, আইনে যতদূর সময় রাখার কথা বলা হয়েছে। সে সময় দেয়া হয়েছে। তবুও যেহেতু, উনারা দাবি জানিয়েছেন, তাদের বলেছি, ফুল কমিশনে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবো। এমপিদের প্রচারণার বিষয়ে তিনি বলেন, যেকোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কোনো কথা বললে, সেটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করি। আমরা যদি আইনের কারণে তাদের দাবি না মানতে পারি, সেটিও তাদের জনিয়ে দেয়া হবে। সোমবার এ বিষয়ে কমিশনে সিদ্ধান্ত নেব। বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের বিষয়ে সিইসি বলেন, আমাদের অ্যাকশনগুলো হাইকোর্টে যাবে। আমরা কোর্টের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উনারা যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমারা সেভাবে করতে বাধ্য। আগেও এভাবে নির্বাচন করেছি। তবে কাউকে যদি হয়রানি করা হয়ে থাকে, কোর্টের মাধ্যমে সেটা নিষ্পত্তি হবে এবং মুক্তি পাবেন। তবে কাউকে অযথা হয়রানি করা হবে না এবং হওয়া উচিতও নয়। একই দিন দুপুরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পৌরসভা নির্বাচনে এমপিদের প্রচারণার সুযোগের দাবি জানায়। একই দিন বিএনপিও নির্বাচন ১৫ দিন পেছানোসহ আটক নেতাদের মুক্তি এবং এমপি-মন্ত্রীরা যাতে নির্বাচনে অংশ না নিতে পারেন তার দাবি জানায়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment