শুক্রবার প্রকাশিত খবরে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, সাহসী শিশু কেটলিনের মায়ের নাম তারা নাইটলি। কিছুদিন থেকেই মাতৃত্বকালীন ছুটিতে বাড়িতে ছিলেন তিনি। চিকিৎসকরা বলেছিলেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি কোনো একসময়ে সন্তান প্রসব করবেন তিনি। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই গত মঙ্গলবার প্রসববেদনা ওঠে তারার। বাড়িতে তখন তাঁর বড় মেয়ে কেটলিন ছাড়া আর কেউই ছিল না।
“কিন্তু আশ্চর্য দক্ষতায় বড়দের মতোই সব কিছু সামলেছে আমার মেয়ে’- ডেইলি মেইলকে জানিয়েছেন তারা। তিনি আরো বলেন, ‘ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ প্রসবব্যথা শুরু হয়। ব্যথায় আমার তখন প্রায় অজ্ঞান অবস্থা। এই অবস্থা দেখে হাসপাতালে টেলিফোন করে কেটলিন। কিন্তু দূরত্বের কারণে অ্যাম্বুলেন্স এসে পৌঁছাতে পারেনি। শুধু এক অ্যাম্বুলেন্সকর্মী টেলিফোনে কেটলিনকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন। মাথা ঠান্ডা রেখে সেই পরামর্শ অনুসরণ করেই ছোট বোনকে বের করে আনে সে।’
সন্তানগর্বে গর্বিত তারা নাইটলি আরো জানান, প্রসবের কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিকভাবেই অন্যদিনের মতো স্কুলে যায় সাহসী ওই শিশু।
এদিকে কেটলিন জানায়, ‘আমি প্রথমে একটু ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। পরে মায়ের কষ্ট দেখে ভয় চলে গেছে। এরপর আমার বোন যখন জন্মগ্রহণ করল, তখন আমি খুবই খুশি ও আনন্দিত হয়েছি। সে অনেক কিউট আর আমি তাকে খুব ভালোবাসি।’
- ‘এ ছাড়া স্কুলের সবাই যখন এই ঘটনাটি শুনল, তখন সবাই খুব প্রশংসা করেছে আর টিচাররা চকলেটও দিয়েছে’ – হাসিমুখে ডেইলি মেইলের প্রতিবেদককে জানায় ছোট্ট কেটলিন।
No comments:
Post a Comment