ঘরের মাঠেও হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা পেতে হল তামিম ইকবালের চিটাগাং ভাইকিংসকে। চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে বরিশাল বুলসের কাছে ৩৩ রানে হেরে গেল তারা। এদিকে চার ম্যাচে তৃতীয় জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষস্থানের লড়াইয়ে বরিশাল বুলস।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭০ রান তুলেছিল বরিশাল। রান তাড়ার শুরুর দিকেই ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়া চিটাগাং শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে যায় ১৩৭ রানে। পাঁচ ম্যাচে চিটাগংয়ের এটি চতুর্থ হার।
উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো ছিল যথেষ্টই। বাউন্স ছিল সমান, ব্যাটে এসেছে ভালোমতোই। একের পর এক বাজে শটে উইকেট উপহার দিয়ে এসেছেন চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানরা। ১৭১ রান তাড়ায় প্রয়োজন ছিল ভালো শুরু। চিটাগংয়ের শুরুটা ছিল উল্টো। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আল আমিন হোসেনের লেংথ বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে ধরা পড়েন তামিম ইকবাল (৬)।
এবারের বিপিএলে প্রথমবার খেলতে নামা কামরান আকমল (০) রান আউট হলেন প্রশ্নবিদ্ধভাবে। দ্রুত সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টায় ছুটেছিলেন, কিন্তু শেষ পদক্ষেপে ব্যাট ক্রিজে ছোঁয়াননি! আল আমিনকে টানা তিন বলে চার মারার পর তাইজুল ইসলামকেও চার মেরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তিলকরত্নে দিলশান। কিন্তু ওই ওভারেই ধরা পড়েছেন মিড অনে (১২ বলে ১৯)।
এনামুল হক (১২) ও এলটন চিগুম্বুরাও (৫) পরে অনুসরণ করেন সতীর্থদের। ১০ ওভারেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে চিটাগাং। সেখান থেকে আর ফেরার পথ জানা ছিল না তাদের। এক পাশ আগলে রেখে নাঈম ইসলাম (৪০ বলে ৩৮) শুধু হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছেন। শেষ দিকে ২ ছক্কায় ২০ রান করেছেন আমির।
নাঈম-আমির দুজনকেই এক ওভারে ফিরিয়েছেন কুপার, ২৮ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। দুটি নিয়েছেন আল আমিন; একটি করে মোহাম্মদ সামি, মাহমুদউল্লাহ ও তাইজুল ইসলাম।
এর আগে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো ছিল না বরিশালেরও। কিন্তু নড়বড়ে শুরুর পরও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বরিশাল। শুরুর ধার পরে আর ধরে রাখতে পারেনি চিটাগংয়ের বোলাররা। সঙ্গে যোগ হয় বাজে ফিল্ডিং আর ক্যাচ ছাড়ার মহড়া। সব মিলিয়ে বরিশাল তুলতে পেরেছে এবারের বিপিএলে নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর।
No comments:
Post a Comment