Social Icons

Sunday, November 29, 2015

কোর্টহাজত থেকে সাবেক এসআই রেজাউলের পলায়ন

 কাফরুলের ব্যবসায়ী ফারুক হত্যা মামলার আসামি পুলিশের সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম আদালতের হাজতখানা থেকে পালিয়ে গেছেন।

রবিবার সন্ধ্যায় হাজতখানা থেকে আসামি পালিয়ে যাওয়ার এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকালে ওই মামলায় তিন আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত।

পুলিশ হেফাজতে ফারুক হোসেন কামাল নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের দুই এসআইসহ তিনজনকে সকালে আদালতে হাজির করা হয়। রবিবার ফারুক হত্যা মামলার চার্জ গঠনের দিন ছিল। 

আদালত আসামিদের জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিলে জামিনে থাকা রেজাউল কৌশলে নিজেকে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে কর্তব্যরত পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যান।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন- কাফরুল থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুজ্জামান ও মো. রেজাউল করিম পাটোয়ারী এবং সোর্স বাবু ওরফে রতন ওরফে বাবু মিয়া।

সন্ধ্যা ৬টার দিকে আদালতের হাজতখানা থেকে পালিয়েছেন এসআই রেজাউল করিম পাটোয়ারী। 

এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়েরের একটি প্রক্রিয়া চলছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আবুল হোসেন বলেন, জজ আদালতের হাজতখানা থেকে একজন আসামি পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি প্রসিকিউশন) কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, আদালতের হাজতখানা থেকে পালিয়ে গেছেন এসআই রেজাউল করিম পাটোয়ারী।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবু তৈয়ব জানান, দুই এসআই হাইকোর্ট থেকে প্রথমে দুই মাসের আগাম জামিন পান। পরে তারা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পর্যন্ত জামিন পান। ওই আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ তিন আসামি বিশেষ জজ আদালত ৫-এ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক তাদের জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তিনি আরো জানান, মামলাটিতে পুলিশ ৩০৪ ধারায় (অপরাধজনক প্রাণনাশ) আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলেও আদালত তা আজ নাকচ করে সরাসরি হত্যার অভিযোগে ৩০২ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন এবং মামলার বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। আগামী ১৯ জানুয়ারি এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের জন্যও দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাহেবগঞ্জ গ্রামের মৃত জামাল হকের ছেলে ফারুক হোসেন কামাল রাজধানীর কাফরুল এলাকায় থেকে উপ-ঠিকাদারির কাজ করতেন। ২০১২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আসামি এসআই নুরুজ্জামান ও সোর্স রতন কাফরুলের ভাণ্ডারী স্টিলের দোকান থেকে ফারুক হোসেনকে মামলা আছে বলে কাফরুল থানায় নিয়ে যান।

ওই দিন রাত ১১টায় বাদী থানায় গেলে থানাহাজতে তার ভাইয়ের চিৎকার শুনতে পান। পুলিশকে ম্যানেজ করে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করলে ফারুক এসআই নুরুজ্জামান ও সোর্স রতনকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিতে বলেন। টাকা না দিলে মেরে ফেলবে বলে জানান।

এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি ফারুককে কাফরুল থানার ৫৭(২)১২ নম্বর মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত আসামির শরীরে জখমের চিহ্ন দেখে রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।

পরে ২২ ফেব্রুয়ারি কারাগারে ফারুক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কারা হাসপাতালে তার রক্তবমি হলে তাকে ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়। সেখানে রাত সাড়ে ১১টায় মারা যান ফারুক।

এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন নিহত ফারুকের বোন পারভীন হক। পরে আদালত মামলাটিকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।

চলতি বছরের ১ মার্চ ঢাকার সিএমএম আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ায় দণ্ডবিধির ৩৪২/৩০৪/১১৪/১০৯ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

No comments:

Post a Comment

 

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি

সম্পাদকীয় কার্যলয়

Rua padre germano mayar, cristo rio -80040-170 Curitiba, Brazil. Contact: +55 41 30583822 email: worldnewsbbr@gmail.com Website: http://worldnewsbbr.blogspot.com.br

সম্পাদক ও প্রকাশক

Jahangir Alom
Email- worldnewsbb2@gmail.com
worldnewsbbbrazil@gmail.com
 
Blogger Templates