Monday, November 30, 2015
অবশেষে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেল মুশফিকের সিলেট
অবশেষে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেয়েছে মুশফিকের সিলেট। চট্টগ্রামের জহুর আহম্মেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটে ১৬৫ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামা সিলেট ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে। শুরুটা বেশ ভালোই ছিল সিলেটের। মুনাবেরা ও মোমিনুলের জুটিটা বেশিদূর যেতে না পারলেও মুনাবেরার ইনিংসটি ছিল ঝলমলে। তিনি ৩ টি বাউন্ডারি ও ২ টি ওভার বাউন্ডারির সায্যে ৩৬ রান করে আবু হায়দারের বলে সানজামুলকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। মোমিনুলও ৯ রানেই আবু হায়দারের শিকার হন। বোপারা নিজে বোলিং করে ৪ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাটিংটাকেও নিজের কবজাতে রাখেন। অধিনায়ক মুশফিকও সমানতালে রান করে চলেন। কিন্তু মুশফিককে ৪৭ রানেই বিদায় নিতে হয়। কুলাসেকারার বল সরাসরি উইকেট ভেঙে দেয় মুশফিকের। এরই মধ্যে ৩৭ বল খেলে রভি বোপারা অর্ধতক পূরণ করেন। ৫০ রানেই বিদায় নিতে হয় বোপারাকে। মুশফিকের বিদায়ের পর নামেন হাম্মাদ আজম। আজম ৫ বলে ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় আবু হায়দারের বলে। নাজমুল মাঠে নামলে তাকে শূন্য রানে সরাসরি বোল্ড করে প্যাভিলিয়নে পাঠান হায়দার। শেহান জয়সুরিয়াকে অপরপ্রান্তে রেখে বাউন্ডারি মেরে জয় নিশ্চিত করেন সিলেটের নাজমুল হাসান মিলন। কুমিল্লার পক্ষে আবু হায়দার চারটি ও কুলাসেকারা দুই উইকেট নেন। এর আগে, সিলেটের অধিনায়ক মুশফিক টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। শুরুটা বেশ ভালোই ছিল কুমিল্লার। কিন্তু পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়লেও সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেন ইমরুল ও জাইদি। ওপেনিং এ ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ৪২ রান করেন। ব্যক্তিগত ৪২ রানেই বোপারার বলে এলবিডাব্লিউএর ফাঁদে পড়েন তিনি। মুখতার আহমেদ মাঠে নামলেও বোপারার বলেই কট এন বোল হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপরে আসেন শুভাগত হোম তিনিও বোপারার বলেই বোল্ড হয়ে ফিরে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৭ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সংগ্রহ ১৩০ রান। ইমরুল কায়েস ৪৮ রানে বোপারার বলে থামেন। ক্রিজে রয়েছেন আশার জাইদি। তিনি ৩২ রান নিয়ে খেলছেন। অলোক কাপালি নেমেছেন সঙ্গ দিতে। বোপারাই সিলেটের পক্ষে ৪ টি উইকেট নিয়েছেন। মুশফিকদের বিপিএলে এটাই প্রথম জয়।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment