একটা সময় ছিল, যখন মার্কিন ট্যাবলয়েডের পাতায় দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের খবর মানেই পত্রিকার কাটতি বেড়ে যাওয়া। সত্তর ছুঁইছুঁই প্রেসিডেন্টের প্রেমের সেই ‘সোনালি দিন’ আর নেই বটে। তবে এখনো মাঝেমধ্যেই বেরিয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেমিক প্রেসিডেন্টের’ রগরগে কেচ্ছাকাহিনী।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির স্ত্রী জ্যাকুলিন কেনেডিকে নিয়ে জীবনকাহিনী লেখক ডারউইন পর্টার ও ডানফোর্থ প্রিন্সের লেখা বই ‘ইন বিল অ্যান্ড হিলারি : সো দিস ইজ দ্যাট থিং কলড লাভ’ বইতে উঠে এসেছে ক্লিনটনের অজানা আরেক কেচ্ছা। আর এই নিয়ে মার্কিন ট্যাবলয়েডগুলোতে চলছে তুমুল শোরগোল।
বইটিতে এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর কাছে জ্যাকুলিনের স্মৃতিচারণের বয়ান দিয়ে বলা হয়েছে, সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘ছাড়েননি’ আরেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির স্ত্রীকেও। ঘটনার বর্ণনায় বলা হয়, ১৯৮৯ সালের এক বিকেলে ম্যানহাটানের ফিফথ এভিনিউতে কেনেডির ফ্ল্যাটে সাবেক প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর সঙ্গে ‘যৌন সম্পর্কের’ চেষ্টায় ‘পাগলপ্রায়’ হয়েছিলেন ক্লিনটন।
বইয়ে বলা হয়, বিল ক্লিনটন আর জ্যাকুলিন কেনেডির বয়সের ব্যবধান ছিল প্রায় ১৭ বছরের। এর পরও নিউইয়র্কে কেনেডির ফ্ল্যাটে জ্যাকুলিনের ওপর প্রায় ‘চড়ে বসেছিলেন’ ক্লিনটন। জীবনী লেখকের কাছে জ্যাকুলিন বলেন, সে সময় তাঁর বয়স ছিল ৬০। তবুও নিউইয়র্কে তাঁর ফ্ল্যাটে একটি ‘প্রায় রেসলিং ম্যাচ’ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবং শেষ পর্যন্ত জন এফ কেনেডির বিধবা স্ত্রী ক্লিনটনকে ছুড়ে ফেলতে পেরেছিলেন।
এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর কাছে জ্যাকুলিন বলেছিলেন, ক্লিনটন অনেকটা তাঁর স্বামী কেনেডির মতো। সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুজনের ‘কুখ্যাতি’ সবাই জানে এবং দুজনের কেউই ‘না’ বলতে পারেন না।
জ্যাকুলিন তাঁর বান্ধবীর কাছে আরো বলেন, ১৯৬৩ সালে ক্লিনটনকে যখন তিনি প্রথম দেখেছিলেন, তখন ক্লিনটন একেবারেই তরুণ। হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে ক্লিনটনকে প্রথম দেখেন তিনি।
আরেক বিখ্যাত জীবনকাহিনী লেখক সারাহ বেডফোর্ড জ্যাকুলিনের বয়ানে অনেক আগেই লিখেছিলেন, বিল ক্লিনটনের সঙ্গে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির চারিত্রিক মিল ছিল। ক্লিনটনের ‘বিখ্যাত মোহনীয় বুদ্ধিমত্তা, কথার জাদু আর প্রেমসংক্রান্ত দুষ্টুমির মায়াজালে’ প্রেসিডেন্টের বিধবা স্ত্রী প্রায়ই স্বামীর স্মৃতি ফিরে পেতেন। কিন্তু ক্রিস্টোফার অ্যান্ডারসনের নতুন বইয়ে উঠে এসেছে, ক্লিনটন প্রয়াত প্রেসিডেন্টের বিধবা স্ত্রীর ওপর প্রায় জোর করেছিলেন।
এর আগেও ক্রিস্টোফার অ্যান্ডারসনের বই ‘দিস ফিউ প্রেসাশ ডেইজ : দ্য ফাইনাল ইয়ার অব জ্যাক উইথ জ্যাকি’ বইয়ে উঠে এসেছিল ক্লিনটন ও জ্যাকুলিনের ‘মধুর সম্পর্কের’ কথা।
No comments:
Post a Comment