Sunday, April 17, 2016
বৃষ্টির মধ্যেই বৃটেনে ক্যামেরনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ
ভারি বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করলেন। তারা ঐতিহাসিক ট্রাফালগর স্কয়ারে সমবেত হয়ে সরকারবিরোধী স্লোগান দেয়। অনেক নেতাকর্মী প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের পদত্যাগ দাবি করেন। পানামা পেপারস বিস্ফোরণের আগেই এই সমাবেশের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। শনিবার সমাবেশ থেকে বৃটেনে স্বাস্থ্য খাত, গৃহায়ণ, শিক্ষা ও সরকারি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি ওয়েলসে যাতে স্টিল কারখানায় নিয়োজিত কয়েক হাজার মানুষ কাজ না হারায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ডেভিড ক্যামেরনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। উল্লেখ্য, ওই কারখানাগুলোতে খরচ কমানোর উদ্যোগ নিয়েছেন ক্যামেরন। এতে কয়েক হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার এ সমাবেশের আয়োজন করে দ্য পিপলস অ্যাসেম্বলি। এতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে বক্তব্য রাখেন- ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা ও রাজনীতিকরা। এতে যোগ দেন বিরোধী দলীয় লেবার পার্টির কিছু নেতা। ভিডিও বার্তা পাঠান লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন। তিনি বলেন, যে কঠোরতা চালানো হচ্ছে তা রাজনৈতিক বিবেচনায়। এর অর্থনৈতিক কোনো প্রয়োজন নেই। ক্যামেরন বলেছেন, তিনি ২০১০ সালে দায়িত্ব নেওয়ার আগে তার পিতার কাছ থেকে পাওয়া অফসোর কম্পানির শেয়ার বিক্রি করে তা থেকে সুবিধা নিয়েছেন। তার পিতা আয়কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য অফসোর কম্পানিতে বিনিয়োগ করেছিলেন এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। তা সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে চাপ আসছে। নিজের দলের ভিতরেও রয়েছে চাপ। বৃটেন কি ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কিনা তা নিয়ে গণভোট আসন্ন। সেই ভোটে কি সিদ্ধান্ত হয় তা এখন দেখার বিষয়। ডেভিড ক্যামেরন চাইছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসুক বৃটেন। পার্লামেন্টে রয়েছে তার রক্ষণশীল বা কনজারভেটিভ দলের ৩৩০ জন সদস্য। তার মধ্যে ১২৮ জনই তার মতের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ২৩ জুন ওই গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে। বর্ষীয়ান এমপি কেন ক্লার্ক শনিবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। তিনি বলেছেন, যদি ওই ভোটে ক্যামেরন হেরে যান তাহলে তাকে ক্ষমতা হারাতে হতে পারে।
Labels:
আন্তর্জাতিক
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


No comments:
Post a Comment