Monday, April 4, 2016
কর ফাঁকির তালিকায় বচ্চন মেসি ঐশ্বরিয়া
পানামার একটি আইনি প্রতিষ্ঠানের এক কোটি দশ লাখ গোপন নথি ফাঁসে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ফাঁস হওয়া ওই নথিগুলো থেকে জানা গেছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে ক্রীড়া ও চলচ্চিত্র তারকা এমনকি গ্যাংস্টারসহ ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তিরা কিভাবে নানা কৌশলে কর ফাঁকি দিয়ে নিজেদের সম্পদকে গোপন রাখছেন। পানামার আইনি প্রতিষ্ঠান মোওস্যাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া নথিগুলোতে দেখা যাচ্ছে অর্থ পাচার, ট্যাক্স ফাঁকিসহ বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিতে এই আইনি প্রতিষ্ঠানটি তার মক্কেলদেরকে পরামর্শ দিয়ে আসছে। ফাঁস হওয়া গোপন নথি-পত্রগুলো থেকে জানা গেছে, পৃথিবীর নানান দেশের মোট ৭২ জন বর্তমান ও সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান তাদের নিজেদের দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করছেন। এছাড়া রয়েছেন ক্রীড়া এবং ফিল্ম জগতের নামকরা তারকারাও। এর মধ্যে রয়েছেন, বিশ্ব ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি লিওনেল মেসি, ভারতের চলচ্চিত্র জগতের সবচেয়ে প্রভাবশালী অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ও তারই পুত্রবধূ আরেক চলচ্চিত্র তারকা ঐশ্বরিয়া রাই। এছাড়াও তারকা, শিল্পপতি এবং মুম্বাইয়ের বেশ কয়েকজন গ্যাংস্টারসহ ফাঁস হওয়া গোপন নথিতে ভারতেরই ৫০০ প্রভাবশালী সম্পদশালীল কর ফাঁকির তথ্য উঠে এসেছে। ফাঁস হওয়া নথিগুলোতে দেখা গেছে নিজেদের সম্পদ গোপন করে কর ফাঁকি দিয়েছেন এদের তালিকায় রয়েছেন, মিশরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক, সৌদি বাদশা ফাহাদ, লিবিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপ্রধান মুয়াম্মার গাদ্দাফী এবং সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। এছাড়া একটি ব্যাংকের মাধ্যমে অন্তত প্রায় বিলিয়ন ডলার অর্থ পাচারের সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীও রয়েছেন। ফাঁস হওয়া নথিতে কর ফাঁকি ও সম্পদ গোপন করেছেন তাদের মধ্যে আরো আছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। ওই নথিগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, নথিতে যারা আছেন তাদের মধ্যে ৫শ জনই ভারতীয়। নথি ফাঁস হওয়া প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছে, কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই গত ৪০ বছর ধরে তারা ওই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছে। ধনিক ও ক্ষমতাবানেরা কত কৌশলে কর ফাঁকি দিয়ে নিজেদের সম্পদ লোকচক্ষুর অন্তরালে লুকিয়ে রাখে সেই কথা প্রকাশ্যে এসেছে ফাঁস হওয়া নথিপত্র গুলোতে। গোপনীয়তা রক্ষাকারী হিসেবে পৃথিবীর অন্যতম প্রতিষ্ঠান মোওস্যাক ফনসেকা, যেটি পানামার একটি আইনি প্রতিষ্ঠান, সেখান থেকেই সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে ১১ মিলিয়ন নথিপত্র। এই নথিগুলোই প্রমাণ দিচ্ছে যে মোওস্যাক ফনসেকা তার মক্কেলদেরকে অর্থ পাচার ও কর আদায়ের ক্ষেত্রে আইনি পরামর্শ দিয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অফ ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস বা আইসিআইজে-এর ডিরেক্টর, জেরার্ড রাইল বলেছেন, গত ৪০ বছর ধরে মোওস্যাক ফনসেকা তার দৈনন্দিন যে সকল কাজকর্ম করেছে সেগুলোর নথি রয়েছে এই ফাঁস হওয়া ডকুমেন্টগুলোয়।
Labels:
আন্তর্জাতিক
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


No comments:
Post a Comment