Monday, April 4, 2016
ফেসবুকে প্রেম করে বিয়ে, গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় তনা (২০) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকালে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তনাকে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতারের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. তাহমিনা নাজনীন জানান, ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে আনার এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগেই তিনি মারা যান। নিহতের চোখে ও কানে রক্ত লেগে ছিল বলে জানান তিনি। নিহত তনার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল এলাকায়। তনার মা তহুরা বেগম পুলিশের এসআই (উপ-পরিদর্শক)। তিনি বর্তমানে কিশোরগঞ্জের একটি থানায় কর্মরত আছেন। তনার বাবা রকিবুল ইসলাম বাবর গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় আরেকটি বিয়ে করেছেন। তিনি বর্তমানে ঢাকার উত্তরা এলাকায় বসবাস করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে গৃহবধূ তনার লাশ নিয়ে শহরের খানপুরের ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. তাহমিনা নাজনীন তাকে মৃত ঘোষণা করে লাশ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণের নির্দেশ দেন। তবে এসময় শ্বশুরবাড়ির লোকজন লাশ নিয়ে যেতে চাইলেও হাসপাতালের কর্মচারীদের বাধার কারণে তারা লাশ নিয়ে যেতে পারেনি। নিহত তনার শ্বশুরবাড়ি পক্ষের আত্মীয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু জানান, 'আট মাস আগে তারেকুর রহমানের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে তনার (২০) পরিচয় ও ভালোবাসার সম্পর্ক হয়। প্রায় ছয় মাস আগে সে তারেকের বাসায় চলে আসে।' তিনি বলেন, 'আমরা মেয়ের বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তনার মা তার মেয়েকে নিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর আমরা সামাজিকভাবে তনা ও তারেকের বিয়ে দেই। বিয়ের দিন তনার বাবা ও তার এক বন্ধু এসেছিলেন।' এ বিষয়ে তারেকের বাবা বলেন, 'কী কারণে তনার মৃত্যু হয়েছে তা আমাদের জানা নেই।' তবে স্ত্রীর মৃত্যুর কথা শুনে তারেক নিজেই হাসপাতালের দেয়ালে মাথা ঠুকে না কি আহাজারি করছিল। সে কারণে তার মাথা ফেটে গেছে বলেও দাবি করেন তারেকের বাবা। ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান যুগান্তরকে জানান, গৃহবধূর নাক ও কান দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা গেছে। এছাড়া শরীরের আর কোনো স্থানে জখম পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। তিনি আরও জানান, মৃত তনার মা তহুরা বেগম পুলিশের এসআই। তিনি কিশোরগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আসার পরে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)


No comments:
Post a Comment