টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলার সময় অবৈধ অ্যাকশনের জন্য তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানিকে নিষিদ্ধ করার পর থেকে এই সমস্যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে বিসিবি। সদ্য সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য ১১ জনকে চিহ্নিত করা হয়।
এখন ক্যামেরা এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যবহার করে তাদের বুধবার থেকে তাদের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার কাজ শুরু করলো বিসিবির বোলিং রিভিউ কমিটি। প্রায় দশ বছর পর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার আবার উদ্যোগ নেয়া হলো। মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশেই ইনডোর প্রাকটিস ফ্যাসিলিটিতে এই পরীক্ষা চলছে।
বিসিবির মুখপাত্র জালাল ইউনুস বলেন, অবৈধ বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ক্রিকেট চলতে পারেনা। বিশেষ করে এখন দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন লিগ ও বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্টে কোন কোন বোলারের অ্যাকশনে ক্রুটি রয়েছে। এখন থেকেই তাদের কেয়ার নিতে হবে। যাদের সমস্যা আছে, আমরা চেষ্টা করবো অ্যাসেসমেন্ট করে সেটা ঠিক করে দেয়ার। এরপর তাদের আবার খেলার সুযোগ দেয়া হবে। এরপরও তাদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট এলে আমরা আবার ঠিক করে দেবো। কিন্তু তারপরেও ঠিক না হলে বোলার এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হবে।
বাংলাদেশে সর্বশেষ এরকম উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, দশ বছর আগে ২০০৬ সালে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির সিনিয়র কোচ এবং রিভিউ কমিটির সদস্য, দিপু রায় চৌধুরীর মতে, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতার অভাবে হয়তো তৃণমূল পর্যায়ে এসব সমস্যা ধরা যায়না। তবে শেষপর্যন্ত এর ভুক্তভোগী হয় ক্রিকেটাররাই।
তিনি বলছেন, সন্দেহ হলে একজন বোলারেরই গিয়ে আসা উচিত। কোন আম্পায়ার যদি কাউকে বলে যে, তার হাত বাঁকা করছে, তাহলে তার উচিত কোচের সঙ্গে যোগাযোগ করা। আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। আমরা অবশ্যই তাদের সাহায্য করবো। ত্রুটি থেকে গেলে ভবিষ্যতে তাদের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়বে।
No comments:
Post a Comment