মৃত হামলাকারীদের ও অস্ত্রহাতে আইএসের পতাকার সামনে দাঁড়ানো হামলাকারীদের ছবি প্রকাশের পর এবার একে একে তাদের পরিচয় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। অনেকেই জানাচ্ছেন, হামলাকারীরা তাদের পরিচিত। কিন্তু হামলাকারীদের কোন আচরণে তাদের মনে হয়নি কখনও এমন কিছু করা সম্ভব।
হামলাকারীদের মধ্যে সম্পূর্ণ পরিচয় পাওয়া রোহান ইমতিয়াজকে নিয়ে সবচাইতে বেশি আলোচনা হচ্ছে। কেননা তার বাবা ইমতিয়াজ খান বাবুল আওয়ামী লীগের একজন নেতা। সম্প্রতি ঢাকা থেকে আওয়ামী লীগের ব্যানারে কাউন্সিলর হওয়ার জন্য নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। গত ২১ জুন থেকে ছেলের খোঁজ পাচ্ছিলেন না তিনি। এর প্রমাণ তার ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাস।
এদিকে হামলাকারীদের মধ্যে অপর একজনের নাম নিব্রাস ইসলাম। নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। সাবেক সহাপাঠীরা সনাক্ত করে তার ছবি ও পরিচয় সামনে এনেছে। নিব্রাস ইন্টারন্যাশনাল তার্কিশ হোপ স্কুলে তার শিক্ষা জীবনের একটি অংশ কাটিয়েছেন।
আরেকজনের আগের ও সাইটের দেওয়া ছবি পাশাপাশি দিয়ে তার পরিচয় প্রকাশ করেছেন এক প্রবাসী। তবে নাম সঠিকভাবে জানা যায়নি।
মীর সাবিহ মুবাশ্বের স্কলাসটিকার ছাত্র। এ লেভেল পরীক্ষার আগে গত মার্চে মুবাশ্বের নিখোঁজ হন বলে তার এক সহপাঠীর বরাত দিয়ে জানিয়েছেন তিনি।
মাহবুব রাজীব নামে আরেকজন ফেসবুকে আরেক জঙ্গির ছবি দিয়েছেন। অর্থাৎ হামলাকারী হিসেবে পরিচিত অধিকাংশরাই এসেছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল কলেজ থেকে।
এদিকে পুলিশ শনিবার রাতে নিহত পাঁচজনের লাশের ছবি প্রকাশ করেছে। দুই ছবির অন্তত চারজনের চেহারার মিল ধরা পড়ে। বাকি একজনের ছবি একই ব্যক্তির কি না, তা স্পষ্ট নয়।
এই হামলায় জড়িতদের পাঁচজন চিহ্নিত জঙ্গি বলে পুলিশ প্রধান এ কে এম শহীদুল হক ইতোমধ্যে বলেছেন। তাদের খোঁজা হচ্ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ এই পাঁচজনের নাম বলেছে- আকাশ, বিকাশ, ডন, বাঁধন ও রিপন। তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানানো হয়নি। কিন্তু পুলিশের দেয়া তথ্যে সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় পাওয়া জঙ্গীদের পরিচয়ে কিছু গরমিল পাওয়া যাচ্ছে। এ বিষয়টি নিয়েও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।


No comments:
Post a Comment