পাকিস্তানে নিজের ভাইয়ের হাতে কান্দিল বালোচ খুন হওয়ার পর ওই পরিবারের পিতা মোহাম্মদ আজিম বলেছেন, তার মেয়েই তাদেরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতেন। তিনি বলেন, সে আমাদের সবাইকে সাহায্য করতো, এমনকি আমার ছেলেকেও যে তাকে হত্যা করেছে।
সোশাল মিডিয়ায় নিজের খোলামেলা ও যৌন উত্তেজক ছবি, ভিডিও, স্ট্যাটাস ও মন্তব্য পোস্ট করে পাকিস্তানের মতো রক্ষণশীল সমাজে আলোড়ন ও বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন সোশাল মিডিয়া সেলেব্রিটি কান্দিল বালোচ। পুলিশ বলছে, তিনি পরিবারের সম্মান নষ্ট করেছেন এই অভিযোগে তার ভাই তাকে শ্বাসরোধ করে গত সপ্তাহে হত্যা করেছে। কান্দিল বালোচকে তাদের পারিবারিক গোরস্তানে দাফন করা হয় রবিবার।
মুলতান থেকে ১৩০ কিমি দূরে ডেরা গাজী খানে মিস বালোচের জানাজা হয়েছে যাতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে বলে জানা গেছে। তার পিতামাতা হত্যার জন্যে ছেলেকে অভিযুক্ত করে পুলিশের কাছে মামলা করেছেন। বলা হয়েছে যে আরেকজন ভাই তাদের মেয়েকে খুন করার ব্যাপারে সহযোগিতা করেছে। পিতা বলেছেন, আমার মেয়েটি যা কিছু অর্জন করেছে তা দেখে আমার ছেলে খুব একটা খুশি ছিল না।
২৬ বছর বয়সী কান্দিল বালোচের আসল নাম ফৌজিয়া আজিম। সম্প্রতি পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ এক মুসলিম নেতার সাথে তার নিজের একটি ছবি পোস্ট করে তিনি প্রচুর বিতর্কের সৃষ্টি করেন। তার ২৫ বছর বয়সী ভাই ওয়াসিম বালোচ এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন এবং তাকে পুলিশ আটকও করেছে।
ভাই ওয়াসিম বালোচ বলেছেন, মুসলিম নেতার সাথে ছবি প্রকাশের পরেই তিনি তার বোনকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। ওই ছবিটি বহু মানুষ শেয়ার করেছে। ফেসবুকে তার ছিল সাত লাখ ফলোয়ার। বালোচ ১৪ই জুলাই ফেসবুকে লিখেছিলেন, আমি আধুনিক যুগের একজন নারীবাদী। আমি সাম্যে বিশ্বাস করি। নারী হিসেবে আমি কেমন হবো সেটা আমাকে ঠিক করতে হবে। আমার মনে হয় না শুধু সমাজের জন্যে নারীদের চলতে হবে। আমি মুক্তচিন্তা ও মুক্তমনের একজন নারী। আমি এই আমাকে ভালোবাসি। বিবিসি।


No comments:
Post a Comment