সারাদিন চেয়ারে বসে থাকা অথবা ডেস্ক ওয়ার্ক করা এবং সন্ধ্যায় টিভির সামনে বসাকে বিশেষজ্ঞগণ ধূমপানের চেয়ে ক্ষতিকর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। শুধু তাই নয়, বিশেষজ্ঞগণ আরো বলেছেন, সারাদিন বসে বসে কাজ করা অথবা নিষ্কর্ম বসে থাকলে শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক ক্যান্সারের ঝুঁকি তৈরি হয়।
আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের এক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, কানাডায় এক গবেষণায় বলা হয়েছে- কানাডার জনগোষ্ঠীর একটি ক্ষুদ্র অংশও যদি সামান্য পরিশ্রমের কাজ করত তাহলে তাদের প্রডাকটিভিটি এতটাই বাড়তো যে, আগামী ২৫ বছরে কানাডার অর্থনীতিতে যোগ হতো সাত দশমিক তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাশাপাশি ২০৪০ সালের মধ্যে আরো দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হতো ডায়াবেটিস, হূদরোগ ও ক্যান্সার ট্রিটমেন্টের ক্ষেত্রে। তাই বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, আমরা অলস বসে থাকার ক্ষেত্রে শুধু শারীরিক সমস্যাই দেখি। এর অর্থনৈতিক যে নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে তা মোটেও ভাবি না।
এ ব্যাপারে পার্টিসিপেশন্স অ্যাকশন রিসার্স অ্যাডভাইজরি গ্রুপের বিশেষজ্ঞ ড: মার্ক উল্লেখ করেছেন সারাদিন অফিসে অথবা বাসায় বসে থাকা হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও অকাল মৃত্যুর রেসিপি। গবেষণায় আরো উল্লেখ করা হয়, যদি শুধু ২০১৫ সালে কানাডিয়ানদের একটি অংশ শরীর চর্চা করেন তাহলে উচ্চ রক্তচাপ কমবে দুই লক্ষ ২২ হাজার, ডায়াবেটিস কমবে এক লক্ষ ২০ হাজার, হূদরোগ কমবে এক লক্ষ ৭০ হাজার এবং ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাবে ৩১ হাজার। এছাড়া অকাল মৃত্যু রোধ পাবে দুই দশমিক চার শতাংশের। গবেষকগণ বলছেন, এই গবেষণার ফলাফল মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার প্রতি আগ্রহ তৈরি করবে এবং মানুষ প্রতিদিন কিছু না কিছু ব্যায়াম বা হাঁটাচলায় উত্সাহিত হবে।
লেখক : চুলপড়া, এলার্জি, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ
No comments:
Post a Comment