বাংলাদেশসহ চারটি দেশ ১৯তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান না করার কথা জানানোর পর এটি স্থগিত করা হয়েছে। পাকিস্তানের ইসলামাবাদে এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল।
সার্কের সভাপতি দেশ নেপাল নতুন করে সম্মেলনের স্থান নির্ধারণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। নেপাল বলেছে, পাকিস্তানে সন্ত্রাস বৃদ্ধির কারণে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
বুধবার কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সার্ক সনদ অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার আট-জাতির আঞ্চলিক জোটের কোনো সদস্য দেশের সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান না গেলে শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত হয়ে যায়।
সার্ক সম্মেলনে যোগদান না দেয়ার বিষয়ে সার্কের বর্তমান সভাপতি দেশ নেপালকে মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে বাংলাদেশ। ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায় কার্যকর করা নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে পাকিস্তানের বারবার হস্তক্ষেপের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তানে আসন্ন সম্মেলনে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ভারতের পক্ষ থেকে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ টুইট করেছেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও সন্ত্রাস এক সঙ্গে চলতে পারে না। ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন থেকে সরে দাঁড়াল ভারত। সার্কের সভাপতি দেশ নেপালকে ভারত জানিয়েছে এ অঞ্চলে আন্ত:সীমান্ত সন্ত্রাসী হামলা বেড়ে যাওয়ায় এবং সদস্য দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একটি দেশের হস্তক্ষেপ বেড়ে যাওয়ায় এমন এক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে যা নভেম্বরে ইসলামাবাদে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের জন্য সহায়ক নয়। আঞ্চলিক সহযোগিতা, কানেকটিভিটি ও যোগাযোগের ব্যাপারে ভারত তার অঙ্গীকারের ব্যাপারে অবিচল আছে। ভারত বিশ্বাস করে, শুধু সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশেই এসব এগিয়ে নেওয়া সম্ভব। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষে ইসলামাবাদে প্রস্তাবিত শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। বিকাশ আরও বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারছি সার্কের আরও কয়েকটি দেশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে ইতিমধ্যেই তাদের আপত্তির কথা জানিয়ে দিয়েছে।’
No comments:
Post a Comment