সে যেন এক রূপকথার দেশ। দেশের মানুষেরা বাস করে সুখে শান্তিতে। অপূর্ব প্রকৃতি তার স্নেহময় হাতে আগলে রাখে সবাইকে। সে দেশের জনগণ সবাই শিক্ষিত। পড়াশোনার জন্য লাগে না কোন খরচ। সেখানকার মানুষেরা বোঝে না ঈর্ষা কী! তারা বিশ্বের সবচেয়ে পজেটিভ এবং দয়ালু মানুষ। কল্পনা মনে হলেও এমন দেশ আছে আমাদের যুদ্ধবিদ্ধস্ত এই পৃথিবীতেই। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সারা বিশ্বের সবক'টি দেশের মাঝে কয়েকটি দেশকে সবচেয়ে সুখী দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। আসুন জেনে নিই দেশগুলোর কথা-
সুইডেন
সুইডেনের জনসংখ্যা প্রকাশ করে তাদের জীবনের সন্তুষ্টি। তাদের মাঝে এই সন্তুষ্টির কারণ হল সুইডিশ অভ্যাস, যাকে বলা হয় 'ফিকা'। অভ্যাসটি খুবই সাধারণ। সুডেনের মানুষেরা টানা মানসিক চাপ নিয়ে কাজ করেন না। তারা কাজের ফাঁকে ব্রেক নেন, কফি পান করে্ন, আড্ডা দেন। প্রতি ২ঘন্টায় ১৫ মিনিটের এই ব্রেক তারা নেন। ছোট্ট এই অভ্যাসটি তাদের রাখে স্ট্রেসফ্রি। কাজ করতে যেমন ভাল লাগে তেমনি অফিসের সবাই কলিগ নয় পরিণত হয় বন্ধুতে। তাদের মন ভাল থাকে, থাকে সুখী। আর এজন্যই কফির সবচেয়ে বড় ভোক্তা দেশও সুইডেন!
অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়ার জনসংখ্যা খুবই কম। কিন্তু তাদের নাগরিক ঘনিষ্ঠতা অনেক বেশী এবং বলা হয় তারা পরিচ্ছন্ন উচ্ছল একটি কমিউনিটি। তাদের এই বৈশীষ্ট্যের পেছনের কারণটিও যথারীতি মজার।অস্ট্রেলিয়ার বারবিকিউ প্রেমই তাদেরকে বেঁধেছে সামাজিক অনন্য বন্ধনে। তারা প্রায়ই পার্টির আয়োজন করেন। লোকাল পার্কে সবাই একত্রিত হন এবং আড্ডা দেন। আপনার যদি কোন অস্ট্রেলিয়ান বন্ধু নাও থাকে তবু আপনি তাদের বারবিকিউ পার্টিতে জয়েন করতে পারবেন। আর একবার পার্টিতে যেয়েই কিছু বন্ধু তৈরি করে ফেলুন। আপনি হয়ত তাদের ব্রিউয়ারিতে যাওয়ার সুযোগও পেয়ে যাবেন। আর একইসাথে স্বাদ নিতে পারবেন অস্ট্রেলিয়ান বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী মাংস রান্নার।
নিউজিল্যান্ড
নীল পাহাড়, বন্য প্রকৃতি আর শ্বাস্রুদ্ধকর সুন্দর পরিবেশের মানুষেরা সুখী না হয়ে যায় না। নিউজিল্যান্ড এমনই একটি অপূর্ব দেশ। এখানে জনসংখ্যাও কম। বন্য প্রাণী আর গাছ পালার বৈচিত্র দেশটিকে করেছে অনন্য। প্রকৃতিই তাদের সুখের রহস্য।
নেদারল্যন্ডস
এই দেশের মানুষও খুব সুখী। এই সুখের রহস্য লুকিয়ে আছে তাদের লাইফস্টাইলে। তারা শারীরিক কাজ করেন প্রচুর এবং ভালবাসেন বাইক চালাতে। তারা তৈরি করে নিয়েছে নিরাপদ বাইক চালানোর পথ। ৩০ হাজার কিলোমিটারের এই পথে তারা বেরিয়ে পড়েন সখের বাইকটি নিয়ে প্রায়ই। আপনি যদি কখনো আমস্টারডামে বেড়াতে যান তাহলে অবশ্যই একটি বাইক ভাড়া করবেন এবং গাইডসহ ঘুরে বেড়াবেন। কখনোই না ভোলার মত একটি অভিজ্ঞতা হবে এটি।
কানাডা
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ দেশ কানাডা। ভ্রমণকারীদের জন্য এটি স্বর্গ। এই চমৎকার দেশের নাগরিকেরা দূর্দান্ত সুন্দর ন্যাশনাল পার্কগুলোয় ঘুরে বেড়ান, পাথুরে পাহাড়ে চড়ে বেড়ান, ভ্রমণ করেন দেশের নানান এলাকায়। প্রকৃতির কাছে বারবার ভ্রমণই তাদের ইতিবাচক মানুষে পরিণত করেছে।
No comments:
Post a Comment