“এটা ইসলামে নিষিদ্ধ, হারাম,” মন্তব্য জাকির নাইকের।
বাংলাদেশ সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেছেন, তার ভাষণের কোন অংশটা সেদেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেই পুরো অনুষ্ঠানটা দেখানো হোক।
ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌদি আরবের মদিনা থেকে স্কাইপের মাধ্যমে জাকির নাইক এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।
মি. নাইক ওই সংবাদ সম্মেলনে বারে বারেই বলতে থাকেন যে তিনি তার কোনও ভাষণেই সন্ত্রাসের পক্ষে কথা বলেন নি।
অনেক ক্ষেত্রে ‘ডক্টরড টেপ’ অর্থাৎ কাটছাঁট করা ভিডিও দেখেই তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ করছে সংবাদ মাধ্যম, এমনটাই মত জাকির নাইকের।
গুলশানে জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশে পিস টিভি নিষ্দ্ধি করা হয়েছে
“আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, পিস টিভিতে দেওয়া আমার পুরো ভাষণগুলো কেউ দেখাক। তারপরে বলুক যে কোন অংশটা ভারত বা বাংলাদেশের জন্য অশান্তি তৈরি করতে পারে?” প্রশ্ন জাকির নাইকের।
তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি ভারতে আটক এক যুবকের বাবা অভিযোগ করেছেন যে তার ছেলে জাকির নাইকের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছিল।
এছাড়াও আই এসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ভারতে আরও কয়েকজনের পরিবার অভিযোগ করেছে যে তারা জাকির নাইকের বক্তব্য দেখেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল।
এই প্রসঙ্গে মি. নাইক বলেন যে তিনি প্রতি মাসে কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। তারা তার সঙ্গে ছবিও তোলেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজনকেই হয়তো তিনি ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন।
“জ্ঞাতসারে আমি কোন সন্ত্রাসবাদীর সঙ্গে দেখা করি নি। কিন্তু হাজার হাজার মানুষের মধ্যে যদি এমন ব্যক্তি কেউ থেকে থাকেন যিনি সন্ত্রাসবাদী, তাহলে তো সেটা আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়!”
ভারতে তার পিস টি ভি চ্যানেলটি দেখানোর অনুমতি কেন দেয় নি সরকার, সেই প্রসঙ্গও তোলেন জাকির নাইক।
“কেন অনুমতি দেওয়া হয় নি, তার একটা কারণ আমি আন্দাজ করতে পারি - পিস টি ভি একটা মুসলিম চ্যানেল, এটা ইসলামি চ্যানেল। সেজন্যই অনুমতি দেয় নি ভারত সরকার,” বলছিলেন জাকির নাইক।
মুম্বাই পুলিশ জাকির নাইকের বিরুদ্ধে যে তদন্ত চালাচ্ছে, তিনি সেই তদন্তের মুখোমুখি হতেও রাজী।
তবে ওই তদন্তের কথা তিনি শুধু সংবাদমাধ্যমেই জেনেছেন। সরকারি পর্যায়ে কেউ তার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করে নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment