অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ রোধ করতে অনেক নারীকেই জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করেন। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িতে নারীদের বিষণ্ণতার আশঙ্কা তৈরি হয় বলে মনে করছেন গবেষকরা। সর্বশেষ এ গবেষণাটি করেছেন ডেনমার্কের গবেষকরা। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
বিষণ্ণতা মূলত একধরনের মানসিক সমস্যা। এ সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার পেছনে বহু কারণ রয়েছে। আর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভনিরোধক ওষুধও বিষণ্ণতার কারণ।
বহুদিন ধরেই নারীরা গর্ভনিরোধের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার করছেন। এটি মূলত হরমোনের ওপর প্রভাব ফেলে। আর এ হরমোরনের তারতম্যের কারণেই বিষণ্ণতা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা।
সম্প্রতি এক গবেষণায় বিষণ্ণতার সঙ্গে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ির এ সম্পর্কের বিষয়টি জানা যায়। গবেষকরা জানান, প্রায় এক মিলিয়ন নারীর ওপর গবেষণায় এ বিষয়টি প্রকাশিত হয়েছে। মেডিকেল রিপোর্টের ভিত্তিতে এ গবেষণাটি করা হয়েছে। এতে অল্পবয়সী নারী থেকে শুরু করে বয়স্ক নারী পর্যন্ত বিভিন্ন বয়সের নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গবেষকরা জানান, যে নারীরা গর্ভধারণ রোধ করতে পিল সেবন করেন তাদের ২৩ শতাংশ ক্ষেত্রে বিষণ্ণতার জন্য ওষুধ দিতে হয় বলে দেখা গেছে মেডিক্যাল রিপোর্টে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন শুরুর প্রথম ছয় মাসে এ বিষণ্ণতার প্রভাব দেখা যায়।
তবে শুধুমাত্র যে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি যারা সেবন করেন শুধু তাদেরই বিষণ্ণতার প্রবণতা দেখা যায়, তাই নয়। গর্ভধারণ রোধে ব্যবহৃত অন্যান্য উপাদানেও এ বিষণ্ণতা হতে পারে। গবেষকরা আরও দেখেছেন যে ইমপ্ল্যান্টস, প্যাচেস ও জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা বিভিন্ন পদ্ধতি যারা ব্যবহার করেন তাদের মাঝেও সীমিত পর্যায়ে বিষণ্ণতা হতে পারে। এক্ষেত্রে যে নারীদের বয়স কম, তাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
এ গবেষণার জন্য ডেনমার্কের ১৫ তেকে ৩৪ বছর বয়সী প্রায় এক মিলিয়ন নারীর চিকিৎসা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। তাদের ২০০০ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করা হয়।
এ বিষয়ে গবেষণাটির প্রধান গবেষক ছিলেন অজভিন্ড লিডেগার্ড। তিনি জানান, জন্মনিয়ন্ত্রণ সামগ্রী ব্যবহার করা নারীদের বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একই বয়সের পুরুষের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তবে বয়ঃসন্ধিতে আসার আগ পর্যন্ত এ হার একই থাকে।
গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে।
Friday, September 30, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment