নারী ও পুরুষের সম্পর্ক সংজ্ঞায়িত বিভিন্ন পর্যায়ে। ডেটিং থেকে শুরু করে বিয়ের আগে সহবাস তারপর বিয়ে পর্যন্ত নানা পর্যায়ে চলে এ সম্পর্কের সংজ্ঞায়ন।
কিন্তু সম্প্রতি ডেনবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে ‘জার্নাল অব ফ্যামিলি সাইকোলজি’তে। এ সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে কোহেভিটিং অর্থাৎ বিয়ের আগে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একসাথে বসবাস নারী-পুরুষের সম্পর্কে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
বিয়ের আগে কোহেভিটিং পরবর্তী বিবাহিত জীবনে বিচ্ছেদ ডেকে আনতে পারে। এক হাজার বিবাহিত নারী-পুরুষের ওপর সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, যেসব নারী-পুরুষ এনগেজমেন্টের আগেই একত্রে বসবাস ও সহবাস করে, তাদের বিয়ে-বিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি।
সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ ধরনের নারী-পুরুষের ৪৩ শতাংশের মধ্যেই বিয়ের পর বিবাহিত জীবনে সন্তুষ্টির মাত্রা ধীরে ধীরে কমে গেছে। তাদের চেয়ে বিবাহিত তারাই বেশি সন্তুষ্ট যারা এনগেজমেন্টের পর সহবাস করেছে। এনগেজমেন্টের পর সহবাস করেছে এমন নারী-পুরুষের সংখ্যা ১৬ শতাংশ। তাদের চেয়ে বিয়ের পরবর্তী জীবন আরো বেশি সুখকর হয়েছে যারা সহবাস করেছে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর। তাদের সংখ্যা ৪১ শতাংশ।
ঊর্ধ্বতন গবেষক গ্যালেনা রোডস বলেন : ‘কিছু কিছু দম্পতি আছে যা বিয়ের ব্যাপারে সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেয়ার আগেই সহবাসে লিপ্ত হয়েছে, তারা পরবর্তী সময়ে বিয়ে করার ব্যাপারে পিছিয়ে যেতে চায়। অংশত এর কারণ এরই মধ্যে এরা সহবাসে লিপ্ত হয়ে পড়ছে।’
পরবর্তী আরেকটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেশির ভাগ দম্পতি লিভটুগেদার করতে চায়, কারণ পরস্পরের সাথে বেশি করে সময় কাটাতে চায়। দ্বিতীয় অতি সুপরিচিত কারণ সহজবোধ্য, যা জানা গেছে সম্পর্ক পরীক্ষা করে। গবেষক স্কট স্ট্যানলির পরামর্শ হচ্ছে যোগাযোগটাই কোহেভিটেশনের জন্য মুখ্য।
‘লিভটুগেদার করার আগেই ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিয়ে কথা বলতে হবে, জানতে হবে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের অর্থ কী?’ তিনি আরো বলেন, ডেটিংয়ের চেয়ে সম্ভবত সাময়িক বিরতি হতে পারে আরো কঠিন, যদি ওই দম্পতি ইতোমধ্যেই লিভটুগেদার শুরু করে থাকে।
Thursday, September 29, 2016
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment