১৯৬৫: ঠাণ্ডা যুদ্ধের যুগ। কাশ্মীরে অনুপ্রবেশের চেষ্টায় অপারেশন জিব্রাল্টারের পরিকল্পনা করে পাক সেনা। জবাবে পশ্চিম পাকিস্তানে হানা দেয় ভারতীয় বাহিনী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই ছিল সবচেয়ে বড় লড়াই। ভারতীয় ট্যাঙ্ক, গোলন্দাজ বাহিনীর আক্রমণে নাস্তানাবুদ হয় পাক সেনা। সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আমেরিকার হস্তক্ষেপে ঘোষিত হয় যুদ্ধবিরতি। তাসখন্দ চুক্তি সই করে ভারত-পাকিস্তান। যুদ্ধবিরতির সময় পাক সেনার চেয়ে অনেক সুবিধাজনক জায়গায় ছিল ভারতীয় সেনা।
১৯৭১: স্বাধীনতাকামী পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের ওপর পাক সেনার মদদে নারকীয় অত্যাচার চালায় রাজাকার, আলবদর বাহিনী। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকতে শুরু করে উদ্বাস্তুরা। পাকিস্তানের সেনার সঙ্গে লড়াইয়ে মুক্তিবাহিনীর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ইন্দিরা গান্ধী। উত্তর ভারতে পাক সেনা বোমাবর্ষণ শুরু করলে ভারতীয় সেনা সরাসরি যুদ্ধে নেমে পড়ে। মাত্র তেরো দিনের লড়াইয়ে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয় পাক সেনা। মুছে যায় পূর্ব পাকিস্তান। জন্ম নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।
১৯৯৯: জম্মু-কাশ্মীরের কার্গিলে নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গেই ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে পাক সেনা। পরমাণু শক্তিধর দুই দেশ এই প্রথম জড়িয়ে পড়ে সীমিত যুদ্ধে। শুরু হয় অপারেশন বিজয়। ভারতীয় সেনার পরাক্রমে আবার নিয়ন্ত্রণ রেখায় ফিরে যেতে বাধ্য হয় পাক সেনা। বিদেশী হানাদারদের হাত থেকে দখলমুক্ত হয় কার্গিল।
No comments:
Post a Comment