বুদ্ধিমতি আপনার সঙ্গী, কিন্তু বেশিদিন বেঁচে থাকার আশির্বাদ লাভ করলেন আপনি! কেমন হয় তাহলে? গবেষকরা কিন্তু এমন সম্ভাবনার কথাই বলছেন! সাম্প্রতিক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য যে আপনার সঙ্গীর বুদ্ধিমত্তা বাড়িয়ে দিতে পারে আপনার আয়ু।
আপনি যখন আপনার হবু স্ত্রীর কথা কল্পনা করেন তখন কি থাকে আপনার প্রথম চাওয়া? নিশ্চয়ই একজন সুন্দরী রমনীকে দেখেন আপনি। দেখেন তিনি কেমন রান্না করছেন, কেমন যত্ন নিচ্ছেন আপনার এবং আপনার পরিবারের। তিনি প্রখর বুদ্ধমতি, দূর্দান্ত স্মার্ট, যে কোন সমস্যা সমাধান করে ফেলেন মূহুর্তে এটা ভাবতে হয়ত গলা শুকিয়ে আসে আপনার। আমাদের উপমাহাদেশের পুরুষেরা নারীকে তার চেয়ে এগিয়ে থাকা অবস্থায় কল্পনাই করতে পারেন না। কিন্তু এই কল্পনা এবং এর বাস্তয়ায়ণ আপনার বেঁচে থাকার সময়কে দীর্ঘ করে দেবে। কীভাবে? আসুন জেনে নিই গবেষকদের মতামত।
গবেষকরা বলছেন, যে সকল পুরুষেরা বুদ্ধিমান নারীদের জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নেন তারা কম অসুস্থতায় ভোগেন। তাদের জীবনে দ্বিধাদ্বন্দ্ব কমে যায়, স্ট্রেস কমে যায়। ফলে তারা কম মানসিক চাপে ভোগেন। এছাড়াও তারা Alzheimer’s বা dementia রোগে কম ভোগেন। এটা সবাই জানেন যে, বুদ্ধিদীপ্ত খেলা মানুষকে এধরণের ব্যাধি থেকে রক্ষা করে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, একজন বুদ্ধিমান সহধর্মিনী আপনার বুদ্ধির চর্চাকে ধরে রাখে, থেমে যেতে দেয় না। তাই তিনি আপনাকে রাখতে পারেন এধরণের ব্যাধিমুক্ত।
অবিশ্বাস্য হল, স্টাডিতে দেখা গেছে কিছু পুরুষ যারা উচ্চ বুদ্ধিসম্পন্ন নারীদের বিয়ে করেছেন তারা শারীরিকভাবে দূর্বল মস্তিষ্কের অধিকারী হওয়া স্বত্ত্বেও তাদের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্যজণিত কোন সমস্যা দেখা যায় নি। তারা বরং নিজেদের মানসিক যোগ্যতা এবং দক্ষতা নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন।
নারীদের উচিৎ তাদের বুদ্ধি নিয়ে গর্বিত হওয়া এবং ছোটবেলা থেকেই তাদের গড়ে তোলা উচিৎ দায়িত্বশীল এবং স্বাধীনচেতা মানুষ হিসেবে। পুরুষের উচিৎ সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীকে সমমর্যাদা দেওয়া, পরিবারে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখা। এভাবেই জীবন স্বাস্থ্যকর হয়, জীবনের বাড়তি অনেক প্রেশার কমে যায়। কিন্তু দূঃখজনক হল, আমরা নারীদের যোগ্যতা বলতে এখনও শুধু সৌন্দর্য্যকে বুঝি, ঘর-সংসার গুছিয়ে রাখার দক্ষতাকে বুঝি। নিজেদের প্রয়োজনেই আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর সময় এসেছে।
No comments:
Post a Comment