যারা গোপনাঙ্গের কেশ সাফ করেন তাদের জন্য নেতিবাচক বার্তা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে এ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষণাপত্রের বরাত দিয়ে সেখানে জানানো হয়েছে, যারা নিয়মিত রাসায়নিক উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে গোপনাঙ্গের কেশ পরিষ্কার করেন তাদের যৌনবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
শুধু লোশন দিয়ে সেভ করলেই নয়, লোশন দিয়ে লোম তুললেও একই ধরনের ঝুঁকি থাকে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যারা নিয়মিত এভাবে গোপনাঙ্গের লোম তুলে থাকেন তাদের মধ্যে ৮০ ভাগেরই বিভিন্ন যৌনবাহিত রোগ রয়েছে।
গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সাড়ে ৭ হাজার পূর্ণবয়স্ক মানুষের কাছ থেকে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। এদের ৩ ভাগের ১ ভাগ নিজেরাই রাসায়নিক প্রলেপের সাহায্যে গোপন কেশ মুণ্ডন করে থাকেন বলে স্বীকার করেন। বাকিরা অন্য উপায়ে গোপনাঙ্গের লোম তোলেন। এদের মধ্যে আবার ২০ ভাগ ঘনঘন গোপন কেশ বিনাশ করেন। আর ১৭ ভাগ নিয়মিত না হলেও মাসে ১ বার এই কাজ করেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহারকারীর ৮০ শতাংশ ব্যক্তি তাদের যৌনবাহিত রোগের কথা স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, সঙ্গমের পর সেই যৌনবাহিত রোগ অপরের মাঝেও ছড়িয়ে পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকেরা বলছেন, রাসায়নিক প্রলেপ দিয়ে কেশ অপসারণের কারণে ত্বকে ‘মাইক্রোটিয়ার্স’ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে। যা পরবর্তীতে বড় ধরনের যৌনবাহিত রোগের জন্ম দিতে পারে। তবে আশ্চর্যজনক হলেও সত্য সাধারণ কিংবা ইলেক্ট্রিক রেজার ব্যবহারের মাধ্যমে কেশ অপসারণ করলে এই ঝুঁকি অনেক কম হয়ে থাকে।
চিকিৎসকেরা তাই বলছেন, যৌনবাহিত রোগ থেকে রক্ষা পেতে রাসায়নিক উপাদানের মাধ্যমে গোপনাঙ্গের কেশ অপসারণ বন্ধ করুন। নচেৎ এই কেশ মুণ্ডনের অভ্যাসই বাদ দিন।
তবে মন্দের মধ্যেই ভালো কিছু থাকে! বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, যারা রাসায়নিক প্রলেপ মেখে গোপনাঙ্গের কেশ অপসারণ করেন তাদের তলপেটের লোমে উঁকুন কখনই বসবে না!
No comments:
Post a Comment