মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নাক গলানোর সন্দেহে শাস্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ৩৫জন রাশিয়ান কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি এবং সান ফ্রান্সিসকো কনসুলেটের এসব কূটনীতিক এবং তাদের পরিবারকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিজ দেশে ফিরে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে মেরিল্যান্ড এবং নিউ ইয়র্কে গোয়েন্দা তথ্য কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হত এমন দুটি রুশ কম্পাউন্ডও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। এছাড়া রুশ গোয়েন্দা সংস্থার গ্রু ও এফএসবির ও তাদের সাথে সম্পৃক্ত নয়টি সংস্থা ও ব্যক্তির ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাশিয়া এর কঠোর জবাব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ক্রেমলিনের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র গুরুতর অস্বস্তিতে পড়বে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময়ে ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং হিলারি ক্লিনটনের নির্বাচনী প্রচারণা রুশ হ্যাকারদের কবলে পড়েছিল, এমন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যদিও রাশিয়া এসব অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে 'খেলো' করার চেষ্টার জন্য যারা দায়ী এসব পদক্ষেপ তাদের জন্যেই নেয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে ওবামা বলেছেন, রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সব মার্কিন নাগরিকেরই সচেতন থাকা উচিত। সেই সঙ্গে মার্কিন বিশেষজ্ঞদেরও রুশ সাইবার হামলার ঝুঁকি চিহ্নিত করা এবং তা থেকে রেহাই পাবার উপায় খোঁজার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, নিঃসন্দেহে এর সমানুপাতিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র গুরুতর অস্বস্তিতে পড়বে। রাশিয়া তাড়াহুড়া করে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাবেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তগুলো প্রেসিডেন্ট ওবামা নিয়েছেন, কিন্তু তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্ব নেবেন। অবশ্যই, এই বিষয়গুলো কোনো না কোনো ভাবে বিবেচনায় নেয়া হবে। বিবিসি।
No comments:
Post a Comment