শৈশবেই বিটা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন দুবাইয়ের বাসিন্দা মোয়াজা আল মাতরুশি। ১১ বছর বয়সে তার এ অসুখ ধরা পড়ার পর জরায়ুর টিস্যু সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন ফ্রিজে। ১৩ বছর পর সেই টিস্যু ব্যবহার করেই লন্ডনের পোর্টল্যান্ড হাসপাতালে ছেলে শিশুর জন্ম দেন তিনি।
বিশ্বে এই পদ্ধতিতে সন্তানের জন্ম দেওয়ার ঘটনা প্রথম।
শৈশবে বিটা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন মোয়াজা। এই অসুখের ফলে রক্তে অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা কমে আসে তার। ৯ বছরের মেয়েকে লন্ডনের গ্রেট ওরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালে নিয়ে যান মোয়াজার বাবা ও মা। ভাইয়ের বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয় তার শরীরে।
চিকিত্সার জন্য কেমোথেরাপি প্রয়োজন ছিল। কিন্ত তাতে মোয়াজার ৯৯ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি ছিল। মোয়াজার মা জরায়ুর টিস্যু ফ্রিজ করার পদ্ধতির কথা জানতেন। মোয়াজা বলেন, নিজের সর্বস্ব দিয়ে শুধু আমাকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন মা।
লন্ডন থেকে সুস্থ হয়ে দুবাই ফিরে আসেন মোয়াজা। ২০ বছর বয়সে বিয়ের পর থেকেই মা হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু অনিয়মিত পিরিয়ড ও হট ফ্লাশের মতো পেরি-মেনোপজাল সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। ২০১৪ সালে লন্ডনে এসে হরমোন থেরাপি করানোর পরও হতাশ হয়েই ফিরে যেতে হয়। কিন্ত হাল ছাড়েননি মোয়াজার স্বামী আহমেদ। ২০১৫ সালের অগাস্ট মাসে তার ফ্রজেন ওভারি আবারও মোয়াজার শরীরে প্রতিস্থাপন নিয়ে গবেষণা শুরু করেন ডেনমার্কের একদল চিকিত্সক। এবার সফলতা আসে।
মোয়াজা-আহমেদ দম্পতি তাদের শিশুটির নাম রেখেছেন রশিদ।
No comments:
Post a Comment