রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আরো সময় চেয়েছেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি।
রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা হত্যা ও নির্যাতন নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ ও ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে, মিজ সু চি সোমবার আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রীদের সাথে ইয়াঙ্গনে এক বৈঠক করেন।
রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা হত্যা ও নির্যাতন নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ ও ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে, মিজ সু চি সোমবার আসিয়ান জোটভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রীদের সাথে ইয়াঙ্গনে এক বৈঠক করেন।
ঐ বৈঠকে তিনি বলেন, রাখাইন প্রদেশে ত্রাণকর্মীদের ঢুকতে দেওয়া হবে, কিন্তু তারা সব জায়গায় যেতে পারবে না।
আরাকানের যে সমস্ত জায়গায় রোহিঙ্গাদের হত্যা এবং ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে, সে সব জায়গায় প্রবেশাধিকারের সম্ভাবনা তিনি নাকচ করে দিয়েছেন।
বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, ইয়াঙ্গনের এই বিশেষ বৈঠকে অং সান সু চি যা বলেছেন, তাতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতিতে খুব সামান্যই পরিবর্তন হচ্ছে।
তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সব চেয়ে বড় মুসলিম জনগোষ্ঠী সম্পন্ন দুটি দেশ মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়ার কৃতিত্ব হচ্ছে এখানেই যে তারা অং সান সু চিকে এমন একটি বিষয়ে কথা বলতে বাধ্য করতে পেরেছে যা তিনি 'মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়' বলে মনে করেন।
প্রথমত, তিনি এই বৈঠকটি করতেই চান নি। বরং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে তিনি এর আগে রোহিঙ্গা মুসলিম ইস্যু নিয়ে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ এনেছেন।
কিন্তু এটাও বলতে হবে যে এ বৈঠকে মিজ সু চি নিজের জায়গা থেকে একটুও নড়েন নি।
বরং তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করার জন্য এ সুযোগটা কাজে লাগিয়ে বলেছেন যে রোহিঙ্গা ইস্যুটি একটি জটিল বিষয় এবং এর নিষ্পত্তি করার জন্য তার সরকার যা করছে তার সুফল পেতে সময় লাগবে।
এক লক্ষের মতো রোহিঙ্গা মুসলিমদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেবার ব্যাপারে কোন বড় অগ্রগতি হয় নি।
মিজ সুচি শুধু বলেছেন, ত্রাণ পৌঁছে দেবার প্রয়োজনীয় সুযোগ দেয়া হবে।
তবে সবচেয়ে স্পর্শকাতর যে জায়গাগুলো - যেখানে সৈন্যরা হত্যাকান্ড ও ধর্ষণ চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে - সেগুলোতে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে না।
No comments:
Post a Comment