নাচ করার অপরাধ৷ একসঙ্গে পাঁচ কন্যাকে পুড়িয়ে মারা হল পাকিস্তানে৷ ঘটনা দেশের উত্তর পশ্চিম এলাকা কোহিস্তানের৷ ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি, স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের নির্দেশে পাঁচজনকে জীবন্ত পোড়ানো হয়৷ সংবাদপত্রটির আরও দাবি, এই পাঁচ কন্যার কোনও খোঁজই মিলছে না৷ যতটুকু তথ্য এসেছে তাতে তাদের পুড়িয়ে খুন করার সম্ভাবনা প্রবল৷
ঘটনার শুরু ৬ বছর আগে৷ কোহিস্তানের এক ছোট্ট গ্রাম৷ স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁর মোবাইলে গ্রামেরই পাঁচ কিশোরীর ছবি তুলেছিলেন৷ তারা মনের আনন্দে একটি ঘরের মধ্যে নাচানাচি করছিল৷ এদের নাম- বাগিচা, সরিন জান, বেগম জান, আমিনা ও শাহিন৷ সম্ভবত এটা তাদের বেঁচে থাকার শেষ প্রমাণ৷ জানিয়েছে,ওয়াশিংটন পোস্ট৷ আর একটি ভিডিও ক্লিপে রেকর্ড হয়েছে, এক বালকের একলা নাচ করার মুহূর্ত৷ তারও কোনও খোঁজ নেই৷
সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, সেই নাচের পর থেকে নিখোঁজ পাঁচ কিশোরী৷এক কিশোরের সঙ্গে নাচানাচি স্থানীয় পঞ্চায়েত ‘পাপ’বলে মনে করে৷ তাই দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড৷
ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি, পঞ্চায়েত মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া দিতেই এই পাঁচ কিশোরীকে কয়েক সপ্তাহ ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছিল৷ তাদের উপর কখনো গরম জল ঢালা তো কখনও জ্বলন্ত কাঠ কয়লা ছুঁড়ে মারা হত৷ প্রচণ্ড অত্যাচারে পাঁচ কিশোরীর মৃত্যু হয়৷ স্থানীয় পাহাড়ের কোনও এক স্থানে তাদের কবর দেওয়া হয়৷ পরে সরকারি আধিকারিকদের সামনে ওই পাঁচ কিশোরীর মতো দেখতে গ্রামেরই অন্য পাঁচ কন্যাকে হাজির করানো হয়৷ তদন্তকারী অফিসাররা আঙুলের ছাপ মেলাতে চেয়েছিলেন৷ ধরা পড়ার ভয়ে নতুন পাঁচ কন্যার আঙুল নষ্ট করে আত্মীয়রা৷ কারণ সরকারি খাতায় নথিভুক্ত রয়েছে নিখোঁজ পাঁচ জনের আঙুল ছাপ৷
রাশি রাশি অনার কিলিংয়ের মামলার নিচে চাপা পড়েছিল এই পাঁচ কিশোরী নিখোঁজ রহস্য৷ হাইকোর্টের আদেশে ২০১২ সালে বন্ধ হওয়া এই মামলা ফের চালু হয়েছে৷ আফজলের অভিযোগ, তাঁর সেই ছোট্ট ভাইকেও খুন করা হয়েছে৷ খুনের ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন তিনি৷ ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি সবই জানিয়েছেন৷ তাঁর দাবি, অনার কিলিংয়ের নামে ঠাণ্ডা মাথায় পাঁচ কিশোরী ও ও এক কিশোরকে খুন করা হয়েছে৷ এই পরিস্থিতি বদল করতেই হবে৷ জানিয়েছেন আফজল৷- কলকাতা ২৪
।
ঘটনার শুরু ৬ বছর আগে৷ কোহিস্তানের এক ছোট্ট গ্রাম৷ স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁর মোবাইলে গ্রামেরই পাঁচ কিশোরীর ছবি তুলেছিলেন৷ তারা মনের আনন্দে একটি ঘরের মধ্যে নাচানাচি করছিল৷ এদের নাম- বাগিচা, সরিন জান, বেগম জান, আমিনা ও শাহিন৷ সম্ভবত এটা তাদের বেঁচে থাকার শেষ প্রমাণ৷ জানিয়েছে,ওয়াশিংটন পোস্ট৷ আর একটি ভিডিও ক্লিপে রেকর্ড হয়েছে, এক বালকের একলা নাচ করার মুহূর্ত৷ তারও কোনও খোঁজ নেই৷
সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, সেই নাচের পর থেকে নিখোঁজ পাঁচ কিশোরী৷এক কিশোরের সঙ্গে নাচানাচি স্থানীয় পঞ্চায়েত ‘পাপ’বলে মনে করে৷ তাই দেওয়া হয় মৃত্যুদণ্ড৷
ওয়াশিংটন পোস্টের দাবি, পঞ্চায়েত মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া দিতেই এই পাঁচ কিশোরীকে কয়েক সপ্তাহ ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছিল৷ তাদের উপর কখনো গরম জল ঢালা তো কখনও জ্বলন্ত কাঠ কয়লা ছুঁড়ে মারা হত৷ প্রচণ্ড অত্যাচারে পাঁচ কিশোরীর মৃত্যু হয়৷ স্থানীয় পাহাড়ের কোনও এক স্থানে তাদের কবর দেওয়া হয়৷ পরে সরকারি আধিকারিকদের সামনে ওই পাঁচ কিশোরীর মতো দেখতে গ্রামেরই অন্য পাঁচ কন্যাকে হাজির করানো হয়৷ তদন্তকারী অফিসাররা আঙুলের ছাপ মেলাতে চেয়েছিলেন৷ ধরা পড়ার ভয়ে নতুন পাঁচ কন্যার আঙুল নষ্ট করে আত্মীয়রা৷ কারণ সরকারি খাতায় নথিভুক্ত রয়েছে নিখোঁজ পাঁচ জনের আঙুল ছাপ৷
রাশি রাশি অনার কিলিংয়ের মামলার নিচে চাপা পড়েছিল এই পাঁচ কিশোরী নিখোঁজ রহস্য৷ হাইকোর্টের আদেশে ২০১২ সালে বন্ধ হওয়া এই মামলা ফের চালু হয়েছে৷ আফজলের অভিযোগ, তাঁর সেই ছোট্ট ভাইকেও খুন করা হয়েছে৷ খুনের ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন তিনি৷ ওয়াশিংটন পোস্টকে তিনি সবই জানিয়েছেন৷ তাঁর দাবি, অনার কিলিংয়ের নামে ঠাণ্ডা মাথায় পাঁচ কিশোরী ও ও এক কিশোরকে খুন করা হয়েছে৷ এই পরিস্থিতি বদল করতেই হবে৷ জানিয়েছেন আফজল৷- কলকাতা ২৪
No comments:
Post a Comment