ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়া এবং বৃহত্তম শহর সাও পাওলোতে প্রেসিডেন্ট মিশেল তেমারের অভিশংসনের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তেমার দুর্নীতি তদন্তে এক সম্ভাব্য সাক্ষীকে চুপ করাতে ঘুষ দেওয়ার অনুমোদন দিয়েছিলেন। সূত্র : এএফপি।
অনিয়ম-দুর্নীতির জেরে ক্ষমতা হারানো দিলমা রুসেফের পর প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে আসা তেমার এই প্রথম এমন চাপে পড়লেন। অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
ও গ্লোবোর প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন জ্যেষ্ঠ ব্যবসায়ীর সঙ্গে তেমারের কথোপকথনের রেকর্ড রয়েছে তাদের কাছে। প্রেসিডেন্ট দুর্নীতি মামলার সাক্ষী রাজনীতিবিদ এদুয়ার্দো চুনহার মুখ বন্ধ করতে অর্থ দেওয়ার জন্য ওই ব্যবসায়ীকে বলেছিলেন। দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং কর ফাঁকি দেওয়ার দায়ে গত মার্চে কারাগারে পাঠানো হয় চুনহাকে। মিশেল তেমারের মন্ত্রিসভার এক-তৃতীয়াংশ সদস্যের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত হচ্ছে।
পত্রিকায় রেকর্ডিংয়ের বিষয়বস্তু প্রকাশ পাওয়ার পরই সারা দেশে বিক্ষোভ শুরু হয়। ব্রাজিলের আইন পরিষদ কংগ্রেসেও প্রতিবাদ হয়েছে। বিরোধী নেতারা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ এবং আগাম নির্বাচনের দাবি করেছেন। প্রতিবেদনটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দুই দফা অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে কংগ্রেসে। এদিকে প্রেসিডেন্ট তেমার পদত্যাগের কথা নাকচ করে দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment