আসন্ন বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটর করবে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে পুলিশ সদর দফতরে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে নিরাপত্তা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সভায় মহাপুলিশ পরির্দশক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক এ কথা বলেন। ১২-১৪ জানুয়ারি প্রথম এবং ১৯-২১ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
আইজিপি বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় দেশ-বিদেশের বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসল্লির সমাগম হয়। পুলিশ নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণভাবে ইজতেমা আয়োজনের জন্য নিরাপত্তামূলক পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুলিশ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তা পরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করছে। আইজিপি ইজতেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
সভায় ইজতেমাস্থলের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ ডিএমপি এবং গাজীপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা কার্যক্রম তুলে ধরা হয়।
সভায় ইজতেমা মাঠের কৌশলগত পয়েন্টসমূহে আর্চওয়ে, সিসি ক্যামেরা এবং ওয়াচ টাওয়ার স্থাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ইজতেমাস্থলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইজতেমাস্থলে ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ, র্যাব, ব্যাটালিয়ন আনসার ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্মড পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। ডিএমপি এবং গাজীপুর জেলা পুলিশ ইজতেমাস্থলের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে। নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের কার্যক্রম নিবিড়ভাবে মনিটর করা হবে। ইজতেমাস্থলে কন্ট্রোলরুম এবং ডিএমপিতে ট্রাফিক কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হবে।
সভায় উপস্থিত তাবলীগ জামাতের মুরব্বীগণ বিগত সময়ে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ইজতেমাস্থলের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য আইজিপি এবং পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। তারা আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদে সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- এসবির অতিরিক্ত আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, পুলিশ সদরদফরের আইজিপি মোখলেসুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি মহসিন হোসেন, এপিবিএন’র অতিরিক্ত আইজিপি সিদ্দিকুর রহমান, রেলওয়ের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সংশ্লিষ্ট ডিআইজিবৃন্দ, পুলিশ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধিগণ এবং তাবলীগ জামাতের মুরব্বীগণ।
No comments:
Post a Comment