‘
কলিং ভিসায়’ মালয়েশিয়া যাওয়ার পরও কোম্পানি থেকে বেতন পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে।উল্টো বেতন, ওভারটাইম চাওয়ার অপরাধে শ্রমিকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন ও সহ্য করতে হয়। জানা যায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে এমন অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না অভিযোগকারীরা। বাংলাদেশের উত্তরের একটি জেলা গাইবান্ধা থেকে ১০ বছর আগে মালয়েশিয়ায় আসেন তোফাজ্জল হোসেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমানে মালয়েশিয়ায় কলিং ভিসায় আসা অনেকেরই অবস্থা এমন। অনেক কোম্পানি ঠিক মতো বেতন, ওভারটাইম দিচ্ছে না। রয়েছে আবাসন সমস্যাও। তোফাজ্জল হোসেন আরো বলেন, আমার এক আত্মীয় বাংলাদেশ থেকে কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে এসেছেন প্রায় তিন মাস হলো। নিয়মিত কাজও করছেন।কিন্তু কোম্পানি তাদের এক দিনেরও বেতন দিচ্ছে না। কোম্পানি থেকে বেরও হতে দিচ্ছে না।
বেতন না দেয়ার কারণ জানতে চাইলে সুপারভাইজারেরা জানান, সময় হলে বেতন পাবে তোমরা। এমন কথার প্রতিবাদ করলে তখন তাদের মারধর করা হয়। জমিজমা বিক্রি আর ধারদেনা করে তারা এ দেশে এসেছে। যদি বেতনই না পায়, তাহলে কেন কাজ করবে? তাছাড়া মালয়েশিয়ায় বসবাসরত আরেকজন বাংলাদেশি শাহিন ইসলাম ভয়েস বাংলাকে জানান, মালয়েশিয়া সরকার হঠাৎ করেই কলিং ভিসাও কমিয়ে দিয়েছে। কারণ কী তা জানতে পারিনি। তবে ইদানীং কলিংয়ে আসা শ্রমিকদের মধ্যে অনেকেই নানা সমস্যায় আছেন বলে শুনেছি। এর মধ্যে আবাসন সমস্যা বেশি। ২০১৭ সালের ১০ মার্চ মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশকে সোর্স কান্ট্রির মর্যাদা দিয়ে শ্রমিক আমদানি শুরু করে। এর পর থেকেই কলিং ভিসায় প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক মালয়েশিয়ায় পৌঁছে কাজ শুরু করেন। বাকি চাহিদাপত্র যাচাই শেষে শিগগিরই আরো কয়েক হাজার শ্রমিক দেশটিতে পাড়ি জমানোর অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার নেতারা জানান। জানা গেছে নতুন কলিং পদ্ধতিতে শ্রমিক যাওয়ার পর বেশির ভাগ শ্রমিকের থাকার সমস্যা হচ্ছে। কোনো কোনো কোম্পানি লেভির নামে শ্রমিকদের বেতন থেকেই টাকা কেটে নিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
No comments:
Post a Comment